মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার বিশ্বব্যাপী পালন করা হয় ‘মা দিবস’। সেই হিসেবে আজ বিশ্ব মা দিবস। বিশেষ এই দিনটিকে প্রিয় মানুষটির জন্য রঙিন করে তুলতে পারেন।
পৃথিবীর সব থেকে মধুর ডাক হলো ‘মা’। সন্তানের জন্য সব থেকে বেশি যে আত্মত্যাগ করতে পারে, সেই নামটিই হলো মা। আন্না জার্ভিস নামে এক ব্যক্তি ১৯০৮ সালে সর্বপ্রথম মা দিবস উদযাপন করেছিলেন। তিনি পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় নিজের মায়ের স্মৃতির জন্য এই বিশেষ দিনটি উৎসর্গ করেছিলেন।
দিনটি মাতৃত্ব ও মাতৃসত্তার গুরুত্ব, তাৎপর্য এবং পৃথিবীতে আমাদের পদচারণার মূল কাণ্ডারিকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
মাকে ভালোবাসার জন্য বিশেষ কোনো দিনের প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন অনেকেই। কারণ প্রতিটি দিনই মাকে ভালোবাসার জন্য হওয়া উচিত। তবে প্রতিদিনের ভালোবাসাকে আরেকটু বাড়িয়ে বিশেষ করতে এই দিনটির গুরুত্বকে কোনোভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষায় ব্যবহৃত ‘মা’ ডাকের শব্দগুলোর মধ্যকার উচ্চারণগত এই সাদৃশ্য কীভাবে ঘটল তা এক বিরাট রহস্য। তবে ভাষাবিদ রোমান জ্যাকবসন এর পেছনে যুক্তি দেখিয়েছেন যে, শিশুরা যখন তার মায়ের দুধ পান করে, তখন তারা তাদের মুখভর্তি অবস্থায় কিছু শব্দ করে। সেই শব্দগুলো নাক দিয়ে বের হয় বলে উচ্চারণগুলো অনেক ‘ম’-এর মতো শোনা যায়। তাই প্রায় সব ভাষায়ই ‘মা’ ডাকে ব্যবহৃত শব্দগুলো ‘ম’ বা ‘এম’ দিয়ে শুরু হয়।
‘মা’ শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘মম’, যা পূর্বে ব্যবহৃত শব্দ ‘মাম্মা’র পরিবর্তিত রূপ। ধারণা করা হয়, ইংরেজি শব্দ মাম্মা এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘মাম্মা’ থেকে। যা ‘স্তন’ বোঝাতে ব্যবহৃত হতো। এই শব্দ থেকে ‘ম্যামেল’ উত্পত্তি। যা কিনা স্তন্যপায়ী প্রাণীর ইংরেজি প্রতিশব্দ। মজার ব্যাপার হলো, পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ‘মা’ কে বোঝাতে ব্যবহৃত শব্দগুলোর উচ্চারণ প্রায় কাছাকাছি। আর সবগুলো শব্দের শুরুতেই ব্যবহৃত হয়েছে ‘এম’ অথবা ‘ম’বর্ণটি। জার্মান ভাষায় ‘মাট্টার’, ওলন্দাজ ভাষায় ‘ময়েদার’, ইতালিয়ান ভাষায় ‘মাদর’, চীনা ভাষায় ‘মামা’, হিন্দি ভাষায় ‘মা’, প্রাচীন মিশরীয় ভাষায় ‘মাত’, সোয়াহিলি ভাষায় ‘মামা’ এবং আফ্রিকান্স ও বাংলা ভাষায় ‘মা’।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]