শিরোনাম
সতেজতা দেবে দুপুরে ১০ মিনিটের ঘুম
প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২১, ১০:২০
সতেজতা দেবে দুপুরে ১০ মিনিটের ঘুম
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

সুস্থ থাকার জন্য দিনে অন্তত সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। যদি এতটা ঘুমানো সম্ভব না হয় কিছুক্ষণের জন্য একটা ঘুমও যথেষ্ট উপকার করে। নাসার একদল গবেষক অনুসন্ধান করে দেখেছেন যে যেসব বিমান চালক উড্ডয়নের আগে অন্তত এক ঘণ্টা ঘুমিয়ে নেন তাদের মস্তিষ্ক অন্যদের তুলনায় বেশি সজাগ থাকে। এরা সমস্যা অনেক আগেই আঁচ করতে পারেন।


গবেষণায় দেখা গেছে মাত্র ১০ মিনিটের একটা ঘুমও শরীরকে অনেক সতেজ করতে পারে। এক ঘণ্টা লম্বা একটা ঘুম দিলে মস্তিষ্কের তথ্য ধারণ ক্ষমতা আশ্চর্যজনকভাবে বেড়ে যায়। গবেষণায় প্রমাণিত যে, কিছুক্ষণ নিদ্রা স্ট্রেস হরমোনের লেভেল কমিয়ে দেয়।


কাজেই যখনই উদ্বেগ বাড়বে তখনই একটু ব্রেক বা বিরতি নিন। শান্ত, আরামদায়ক জায়গা দেখে অল্প কিছুক্ষণের জন্য নিদ্রায় যান। সতেজ এবং কর্মশক্তিতে ভরপুর থাকতে দুপুর নাগাদ মিনিট ১৫ কিছুক্ষণ নিদ্রায় যেতে পারেন। এর জেরে নিজেকে আরো সতেজ লাগবে। যারা দুপুরে একটা ঘুম দেয় তাদের হৃদরোগের হার ৩০ ভাগ কম।


বিশেষজ্ঞরা জানান, দুপুরে ছোট্ট একটা ঘুম সারাদিনের চক্রটিকে দুইভাগে ভাগ করে ছন্দটা সুন্দরভাবে বজায় রাখে। দুপুরে না ঘুমালে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ছন্দপতন হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়। যা হৃদরোগের কারণ হতে পারে। কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে দিনের বেলায় হাল্কা কিছুক্ষণ ঝিমুনিতে তরতাজা বোধ করতে পারেন। খুব সহজেই কাজ শেষ করে ফেলার মতো উদ্দীপনা চলে আসবে।


গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ঈষৎ নিদ্রায় অভ্যস্ত তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কমে যায়। পর্যাপ্ত ঘুম বা কিছুক্ষণ নিদ্রা শরীর চর্চার ঝোঁক বাড়ায়। এর কারণ, ঘুমের অভাবে ক্লান্ত বা অলস বোধ হয় না। রাতে ঘুম খারাপ হলে শরীর ও মনে তার প্রভাব পড়ে। ভাল তন্দ্রা বা নিদ্রা সেই অভাব পূরণ করে দেয়। ঘুমের অভাবে অনেকেই প্রায়ই বিরক্ত বোধ করেন। অল্প সময়ের নিদ্রা ঘুমের ঘাটতি পূরণ করে দিতে পারে। মেজাজও ভাল হয়ে যায়।


যারা স্বপ্ন দেখাসহ ছোট একটা ঘুম দিয়ে ওঠেন তারা তুলনামূলক বেশি সৃজনশীল এবং সমস্যা সমাধানে বেশি দক্ষ হয়ে থাকেন। দুপুরের দিকে ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের ঘুম হার্টের পক্ষে ভাল। সর্বোপরি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। ঘুম না আসা বা নিদ্রাহীনতার সবচেয়ে বড় অপরাধী হচ্ছে উদ্বিগ্নতা।


যদি উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত থাকেন তাহলে শিথিল হওয়া ও ঘুমানো খুবই কঠিন। ঘুম না আসার পেছনে অবসাদগ্রস্ততা, দুশ্চিন্তা এবং দীর্ঘ সময় ধরে স্মার্টফোন বা কম্পিউটার ব্যবহারও দায়ী হতে পারে। ঘুমানোর আগে প্রতিদিন অন্তত একটি কলা খাওয়া উচিত। ঠান্ডা দুধের সঙ্গে কলা ব্লেন্ড খেলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। তাছাড়া ঘুমের আগে আখরোট, তুলসি পাতা, ডাবের পানি খেলে ভালো ঘুম হয়।


বিবার্তা/এমও

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com