ব্যায়ামগুলো কম্পিউটারের সামনে একটানা কাজ করতে করতে অনেক মানুষই তাঁদের ঘাড় অথবা পিঠে যন্ত্রণা অনুভব করে থাকছেন।
বিশ্ব জোড়া কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিক মানুষের জীবনযাত্রায় এক আমূল পরিবর্তন এনেছে। প্রতি দিনের অফিস যাবার পাঠ আপাতত স্থগিত। অফিস এখন উঠে এসেছে বাড়িতেই। ঘরে বসেই মেইল পাঠানো, একের পর এক মিটিং। সময় বেঁচেছে, কমেছে নিত্য যাতায়াতের ক্লান্তিও। কিন্তু সমস্ত ভালোর পাশাপাশি থাকে কিছু সমস্যাও৷ ব্যতিক্রম নয় এই বাড়িতে থেকে কাজ করার পদ্ধতিও। কম্পিউটারের সামনে একটানা কাজ করতে করতে অনেক মানুষই তাঁদের ঘাড় অথবা পিঠে যন্ত্রণা অনুভব করে থাকছেন। অনেক মানুষের শরীরে বাসা বাঁধছে নানা রকমের সমস্যা। সে সব সমস্যা থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞরা প্রয়োজনীয় কিছু উপদেশ দিয়েছেন৷ একঝলকে সেগুলো দেখে নেওয়া যাক।
পিঠের ওঠানামা:
একটানা কাজ করতে করতে পিঠে ব্যথা অনুভব করলে, এর থেকে ভালো ব্যায়াম খুব কমই হয়। পিছনে ভর দিয়ে শুয়ে, নিজের দুই হাঁটু নিজের বুকের কাছে তুলে এনে, নিজের মাথা পায়ের কাছে নিয়ে আসতে হবে। এই পদ্ধতিতে ঘাড় ও পিঠের চমৎকার ব্যায়াম সম্ভব। রেহাই পাওয়া যাবে ব্যথা থেকেও।
পায়ের গুলির বিশ্রাম:
একটানা কাজ করতে করতে অনেক সময়ই পায়ের গুলিতে টান ধরতে পারে৷ সেক্ষেত্রে খুব সহজ উপায় হল মাটিতে শুয়ে পা দু'টোকে চেয়ারের ওপর তুলে দেওয়া। দু' পায়ের হাঁটু একে অন্যটার থেকে পৃথক করে খানিকক্ষণ রাখতে হবে। খাটে বা বিছানাতেও এটি করা সম্ভব। বিছানায় শুয়ে পা দু'টো বালিশ বা পাশবালিশের ওপর খানিকক্ষন রাখতে পারলেই মিলবে ব্যথা থেকে মুক্তি। পায়ের বিশ্রামের পাশাপাশি, পিঠ এবং কোমরের জন্যেও এই ব্যায়াম উপকারী।
শরীরের সংকোচন-প্রসারণ:
এই পদ্ধতিতে নিজের শরীরকে প্রথমে নিজের দুই হাত ও হাঁটুর ওপর ভর দিয়ে মেঝেতে রাখতে হবে। দুই গোড়ালির মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্ব রাখা কাম্য। এর পর নিজের পেট শিরদাঁড়ার কাছ অবধি প্রসারণ করতে হবে। তার পর আস্তে আস্তে নামিয়ে আনতে হবে মাটির কাছে। পেটের মাংশপেশিগুলির পর্যাপ্ত বিশ্রাম দরকার এই ব্যায়ামের ক্ষেত্রে। দিনে অন্তত পাঁচবার এই ব্যায়াম করলে মিলবে শরীরের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি। মাংসপেশির সংকোচন-প্রসারণের ফলে মিলবে পর্যাপ্ত শারীরিক আরাম।
দিনে অন্তত দশটা করে স্কোয়াট:
একটানা কাজের ফলে হাতের মাংসপেশিতে চাপ পড়তে পারে। দিনে দশটা করে স্কোয়াট, চেয়ারে বসে হাতের ট্রাইসেপের ব্যায়াম ও খুব আলতো করে ঘাড় ঘুরিয়ে ব্যায়াম করলে পাওয়া যাবে ঘাড় ও হাতের মাংসপেশির সমস্যা থেকে মুক্তি।
কাঁধের সংকোচন প্রসারণ:
শুধু ঘাড় কিংবা পিঠ নয়। একটানা কাজের ফলে ব্যথা হতে পারে কাঁধেও। সেক্ষেত্রে প্রথমে শূন্যে কাঁধের সংকোচন ও পরে বৃত্তাকার ভাবে সামনে ও পিছনের দিকে কাঁধের প্রসারণে অনেকটাই লাঘব হবে কাঁধের ব্যথা।
বুকের কাছে হাঁটুর প্রসার:
মেঝে বা বিছানার ওপর শুয়ে বুকের কাছে নিজের দুই হাঁটু তুলে আনতে হবে। এই ধরণের ব্যায়াম যে কেবলমাত্র পিঠ বা হাঁটুর ব্যথা থেকে রেহাই দেয় তাই নয়, বরং মানসিকভাবে যে কোনও রকম চাপ এবং চিন্তা হ্রাসেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে।
বিবার্তা/এসএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]