শিরোনাম
মানবপাচার মামলায় মডেল নদীসহ ৭ জন রিমান্ডে
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২১, ১৮:৪৮
মানবপাচার মামলায় মডেল নদীসহ ৭ জন রিমান্ডে
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

মানবপাচার আইনে করা মামলায় আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের অন্যতম হোতা নদী আক্তার ইতি ওরফে জয়া আক্তার জান্নাত ওরফে নূরজাহানসহ (২৮) সাতজনের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২২ জুন) ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


নদী ছাড়া রিমান্ডে যাওয়া অন্যরা হলেন- মো. আল-আমিন হোসেন (২৮), মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), আমিরুল ইসলাম (৩০), পলক মণ্ডল (২৬), মো. তরিকুল ইসলাম (২৬) ও বিনাশ শিকদার (৩৩)।


পুলিশ জানিয়েছে, ২০০৫ সালে শীর্ষ সন্ত্রাসী রাজীব হোসেনের সঙ্গে নদীর বিয়ে হয়। ২০১৫ সালে রাজীব বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। এরপর থেকেই নদী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। পাচারকরা ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে নদীর দশটির মতো নাম পাওয়া যায়। নদী ভারত, মালয়েশিয়া ও দুবাইয়ের নারী পাচার চক্রের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেন। পাচার নারীদের কাছে তিনি নিজেকে নদী নামে পরিচয় দিলেও ভারতে সবাই তাকে ইতি নামে চেনেন। ভারতীয় আধার কার্ডে তার নাম জয়া আক্তার জান্নাত। বাংলাদেশি পাসপোর্টে নুর জাহান, সাতক্ষীরা সীমান্তে জলি আর যশোর সীমান্তে তিনি প্রীতি নামে পরিচিত।


নদীর কাছ থেকে ভারতীয় দুটি আধার কার্ড, পাসপোর্ট, একটি পুরাতন ডায়েরি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া দুই তরুণীর ৮টি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও ভারতের ব্যাঙ্গালুরু থেকে গোয়াগামী বিমানের দুটি টিকিটের প্রিন্টেড কপি জব্দ করা হয়েছে।


এ বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, পাচারের উদ্দেশে আনা মেয়েদের যশোর সীমান্তে বিভিন্ন বাড়িতে রেখে সুযোগমতো ভারতে পাচার করত চক্রটি। পাচারকরা প্রত্যেক মেয়ের জন্য স্থানীয় এক ইউপি সদস্যকে এক হাজার টাকা করে দেয়া হতো। পাচারকালে কোনো মেয়ে বিজিবির কাছে আটক হলে সেই ইউপি সদস্য আত্মীয় পরিচয় দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসত।


তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হাফিজ আল ফারুক বলেন, ‘নারীপাচার চক্রের অন্যতম হোতা নদী টিকটক বাবু চক্রের সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। টার্গেট করা নারীদের ফাঁসাতে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি নিজে যোগাযোগ করেন। ভারতে নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা অন্তত পাঁচ তরুণী ঢাকার হাতিরঝিল থানায় যে মামলা করেছেন, সেখানেও আসামির তালিকায় নদীর নাম রয়েছে। সর্বশেষ শনিবার ভারতফেরত তিন তরুণী মামলা করেন, যাতে নদীকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে।বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের পুলিশের তদন্তেও নদীর নাম উঠে এসেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের আরো তথ্য জানা যাবে।


বিবার্তা/আবদাল


সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com