ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা লক্ষ্য করে একদিনে ৯৩টি মিসাইল ও ২০০ ড্রোন ছুঁড়েছে রুশ বাহিনী। প্রায় তিন বছর আগে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার হামলা শুরুর পর ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোর ওপর এটা অন্যতম বৃহত্তম বোমাবর্ষণ বলে অভিহিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা লক্ষ্য করে রুশ বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ভয়াবহ এই হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে ইউক্রেনের বৃহত্তম তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। নষ্ট হয়ে গেছে গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম। এছাড়া কিয়েভের বাসিন্দাদের আবারো আশ্রয় নিতে হয়েছে মেট্রো স্টেশনে। এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, রাশিয়ার ছোঁড়া এসব ক্ষেপণাস্ত্রের বেশ কিছু প্রতিরোধ করেছে তার বাহিনী।
স্থল অভিযানও জারি রেখেছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনের পোকরোভস্ক অঞ্চলে একদিনে বেশ কয়েকবার রুশ বাহিনীর প্রবেশ ঠেকিয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেনীয় বিমান বাহিনী। অঞ্চলটির চারপাশে লড়াই আরও তীব্র হয়েছে বলেও জানিয়েছে কিয়েভ।
এদিকে যুদ্ধ বিরতির আলোচনার মধ্যেই আবারো ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরইমধ্যে অস্ত্র দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জো বাইডেন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
অন্যদিকে, মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেনের হামলার বিষয়ে ট্রাম্পের সমালোচনায় খুশি হয়েছে ক্রেমলিন। ট্রাম্পের বক্তব্য মস্কোর অবস্থানের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে যায় বলে শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির আলোচনা এড়িয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, কিয়েভের সঙ্গে এই মুহূর্তে কথা বলার কোনো ভিত্তি নেই।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]