উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় একটি বিশাল আবর্জনার স্তূপে ভূমিধসের পর নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১ জনে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে এই সংখ্যা ৮ ও পরে ১৭ জন বলে জানানো হয়েছিল।
কয়েক সপ্তাহের প্রবল বৃষ্টির পর ভূমিধসের এই ঘটনা ঘটে। এদিকে ভূমিধসের পর বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের খোঁজে উদ্ধারকারীরা বর্জ্য খনন চালিয়ে যাচ্ছেন।
রবিবার (১১ আগস্ট) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
আনুমানিক ৪০ লাখ লোকের বাসস্থান কাম্পালার মেয়র এরিয়াস লুকওয়াগো বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, এটি ছিল এমন ‘একটি বিপর্যয় (যেটি) ঘটতে বাধ্য’, এবং ‘অনেক মানুষ, আরও অনেকেই এখানে সমাহিত হয়ে থাকতে পারেন’।
রয়টার্স নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে আবর্জনার তৈরি বিশাল পাহাড় ধসে পড়ে। এর ফলে আশপাশের বাড়িঘরের বাসিন্দারা ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় চাপা পড়েন।
প্রেসিডেন্ট ইওওয়েরি মুসেভেনি কীভাবে ‘সম্ভাব্য বিপজ্জনক স্তূপের’ কাছাকাছি মানুষকে বসবাস করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং এটিকে ‘বিপজ্জনক অঞ্চল’ বলে অভিহিত করে লোকদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
কাম্পালা পুলিশের মুখপাত্র প্যাট্রিক ওনিয়াঙ্গো রবিবার এএফপিকে বলেছেন, ভূমিধসের ঘটনার পর আরও মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘উদ্ধার অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং এটি চলবে যতক্ষণ না আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে আর কেউ আটকা নেই।’
ওনিয়াঙ্গো বলেছেন, ভূমিধসের কারণে প্রায় এক হাজার লোক তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। অবশ্য কতজন লোক ওই স্থানে বাস করছিলেন বা তার কাছাকাছি এলাকায় বাস করছিলেন কি না তা তিনি উল্লেখ করেননি।
মূলত পুনরায় বিক্রি করা যায় এমন কিছুর সন্ধানে অনেকে আবর্জনার স্তূপের মধ্য দিয়ে ট্রলিং করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন। উগান্ডা রেড ক্রস অস্থায়ী আশ্রয়ের প্রয়োজনে তাঁবু সরবরাহ করছে।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]