ইসরায়েলকে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও ভূখণ্ডে আরো সহায়তা প্রবেশের জন্য চাপ দিচ্ছে সৌদি আরব। রিয়াদভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান।

২৩ এপ্রিল, মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সাংবাদমাধ্যমটি।

লুক্সেমবার্গে অনুষ্ঠিত প্রথম উচ্চ পর্যায়ের ইউরোপীয় ইউনিয়ন-গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের নিরাপত্তা ফোরামের ফাঁকে এই বিবৃতি দেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেছেন, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তিতে অবশ্যই এ দুটি বিষয় (যুদ্ধবিরতি ও ত্রাণ প্রবেশের সুযোগ) অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।

সৌদি মন্ত্রী আরো বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছে। তিনি এটিকে এই অঞ্চলে শান্তি অর্জনের দিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।

তিনি আল আরাবিয়াকে বলেন, আমরা আশা করি, অন্তত কিছু ইউরোপীয় দেশের এই পদক্ষেপ শেষ পর্যন্ত অন্যরা অনুসরণ করবে।

দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের অনুপ্রবেশের পর ৭ অক্টোবর থেকে এ অঞ্চলে উত্তেজনা বেড়েছে। সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে গাজা উপত্যকায় একটি নির্মম সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের হাতে ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই শিশু ও নারী।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ইসরায়েল এই অঞ্চলে প্রয়োজনীয় সহায়তার প্রবেশেও বাধা দিয়েছে, যার ফলে আন্তর্জাতিক অধিকার গোষ্ঠীগুলো থেকে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

তারা বলছে, এতে অঞ্চলজুড়ে ব্যাপক দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং ইতিমধ্যে ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে।

বিবার্তা/জাক