শিরোনাম
আইএস ধরতে তালেবানের অভিযান, আটক ৮০
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৪:১৯
আইএস ধরতে তালেবানের অভিযান, আটক ৮০
সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান দেশটির নিরাপত্তার ক্ষেত্রে জঙ্গি গোষ্ঠি আইএসকেপিকে (ইসলামিক স্ট্যাট অব খোরাসান প্রোভিন্স) সবচেয়ে বড় হুমকি মনে করছে। সম্প্রতি আফগানিস্তানে বেশ কয়েকটি হামলা চালায় এ সংগঠনটি।


মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) আল জাজিরার খবরে বলা হয়, আফগানিস্তানে আইএসকেপির বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান শুরু করেছে ক্ষমতাসীন তালেবান। এরই অংশ হিসেবে আইএসকেপির শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত আফগানিস্তানের নঙ্গরহর প্রদেশ থেকে সংগঠনটির কমপক্ষে ৮০ সদস্যকে তালেবান আটক করেছে।


আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন সংগঠনটি বলছে, তাদের এ অভিযানে আইএসকেপির সাবেক নেতা মাওলায়ি জিয়া-উল-হক নিহত হয়েছেন। আইএসকেপির এ নেতা আবু ওমর খোরাসানি নামেও পরিচিত। এ ছাড়া পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভ্রমণকালে আইএসআইএলের নেতা ফারুক বেনগালজাইকে হত্যার দাবি করেছে তালেবান।


গত ২৮ আগস্ট কাবুলের পরিচিত সালাফিপন্থী বক্তা শেখ আবু ওবায়দুল্লাহ মুতাওয়াকিলকে আটকের অভিযোগ উঠে তালেবানের বিরুদ্ধে। এ আটকের এক সপ্তাহ পর মুতাওয়াকিলকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে তালেবান।


আইএসকেপি যে মতবাদের দ্বারা প্রভাবিত, সেই সালাফি মতবাদের ভিত্তিতে চলা আফগানিস্তানের ১৬টি প্রদেশের তিন ডজনের বেশি মসজিদ বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান।


কাতারের দোহাভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘দীর্ঘ দিনের শত্রু’ আইএসকেপিকে আফগানিস্তান থেকে একেবারে বিলীন করে দেয়াটা অত্যন্ত জটিল কাজ হবে তালেবানদের জন্য। তবে তারা জঙ্গি সংগঠনটির কাছ থেকে দেশটির বেশ কিছু জেলার নিয়ন্ত্রণ বেশ সফলভাবে নিজেদের হাতে নিতে সক্ষম হয়েছে।


আল জাজিরার ওই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন মুজতবা হারিস ও আলী এম লতিফি। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে ক্ষমতাগ্রহণের পর তালেবান যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা দিয়েছিলো। সেইসঙ্গে সংগঠনটি বলেছিলো, সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।


কিন্তু এর পরই একাধিক হামলা চালিয়েছে আইএসকেপি। বিশেষ করে কাবুল, জালালাবাদ ও মাজার-ই-শরিফে বেশ সক্রিয় রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনটির খোরাসান শাখা।


সর্বশেষ ২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরে হামলা চালায় আইএসকেপি। ওই হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ ১৮০ জন নিহত হন। সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ ওই হামলায় আহত হয়েছেন কয়েকশ’ মানুষ।


তালেবান এখন আফগানিস্তানের নিরাপত্তার জন্য আইএসকেপিকে সবচেয়ে বড় শত্রু মনে করে। গত কয়েক সপ্তাহে আফগানিস্তানের জালালাবাদে বেশ কয়েকটি হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি প্রাণ গেছে তালেবান সদস্যদেরও। এর টেলিগ্রাম বার্তায় আইএসকেপি ৩৫ জন তালেবান সদস্য হত্যার দাবি করে। তবে তালেবান এ দাবি অস্বীকার করেছে।


আইএসকেপির বিরুদ্ধে তালেবানের এ অভিযান প্রসঙ্গে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, তাদের সংগঠন সক্রিয়ভাবে ‘দেশে যারা অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে, তাদের খুঁজে বের করবে।


বিবার্তা/এমবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com