বিশ্বে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের সংখ্যা সোয়া ৮ কোটি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। লড়াই–সংঘাত, নির্যাতন–নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার শিকার হয়ে এসব মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। শুক্রবার (১৮ জুন) জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি বিষয়ে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর যে অতিরিক্ত মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, তাদের প্রায় ৭০ শতাংশই উদ্বাস্তু হয় মাত্র পাঁচটি দেশ থেকে। দেশগুলো হলো সিরিয়া, ভেনেজুয়েলা, আফগানিস্তান, দক্ষিণ সুদান ও মিয়ানমার।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, করোনা মহামারির মধ্যে গত বছর আমাদের অধিকাংশ মানুষের চলাচল বাস্তবিক অর্থেই অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। এর মধ্যেই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির শিকার হয়েছে অতিরিক্ত ৩০ লাখ মানুষ।
তিনি বলেন, উদ্বাস্তু হওয়ার ক্রমবর্ধমান ধারা দুর্ভাগ্যজনকভাবে অব্যাহত আছে। তাই আমরা যদি বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা হালনাগাদ করি, তবে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের সংখ্যা উল্লিখিত ৮ কোটি ২৪ লাখের সঙ্গে যুক্ত হবে। তাতে মোট বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির শিকার মানুষের প্রায় ৪২ শতাংশ শিশু।
ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি আরো বলেন, বাস্তুচ্যুতির শিকার মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পেছনে নতুন করে যেসব অঞ্চল ভূমিকা রাখছে, তার মধ্যে উত্তর মোজাম্বিক, পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল ও ইথিওপিয়ার তাইগ্রে উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া উদ্বাস্তুর সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেক আগে থেকেই ভূমিকা রাখছে আফগানিস্তান ও সোমালিয়ার দীর্ঘদিনের সংঘাত।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]