কলকাতায় অ্যাডিনো আতঙ্ক, একদিনে ৬ শিশুর মৃত্যু
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৩, ১০:০০
কলকাতায় অ্যাডিনো আতঙ্ক, একদিনে ৬ শিশুর মৃত্যু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতার বিসিরায় অ্যাডিনো ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।


দাপটে এ ভাইরাসে চলতি বছর ৫৮ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে রীতিমত আতঙ্কে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি জেলা।


ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি, কাশি। চিকিৎসকদের চেম্বারে ভিড় উপচে পড়ছে। এর মধ্যে লাইফ সাপোর্ট যন্ত্র-ভেন্টিলেটর বিকল হয়ে যায় কলকাতা বিসিরায় শিশু হাসপাতালের। অবশেষে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেছে। এড়ানো গিয়েছে বড়সড় বিপদ।


উপচে পড়া ভিড়ের দরুন একটানা চালানোতেই কী বিকল হয়ে গিয়েছে ভেন্টিলেটর যন্ত্র? উঠছে এমন প্রশ্নও।


হাসপাতালের তরফে জানা যায়, জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৬ মাসের এক কন্যা শিশু। অ্যাডিনো উপসর্গ থাকায় লাইফ সাপোর্টে রাখতে হয় ওই শিশুকে। শুক্রবার (৩ মার্চ) সকালে আচমকাই ভেন্টিলেটর যন্ত্র বিকল হয়ে যায়। তড়িঘড়ি বিশেষ উপায়ে চিকিৎসকরা প্রাণ বাঁচান শিশুটির।


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, বিরামহীন ব্যবহারের ফলে ভেন্টিলেটর বিকল হয়ে গেছে। চিকিৎসকদের তৎপরতায় বড়সড় বিপদ এড়ানো সম্ভব হয়েছে।  


শুধু কলকাতা না, পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্রই একই চিত্র। জেলায় জেলায় হাসপাতালগুলোতে উপচে পড়েছে ভিড়। বাড়ানো হচ্ছে লাইফ সাপোর্টের সুবিধাও। পাশাপাশি শিশু চিকিৎসকদের ছুটি বাতিলের নির্দেশ জারি করা হয়েছে।


প্রায় প্রতি ঘরেই জ্বর-সর্দি-কাশি এবং শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছে শিশুরা। শহর থেকে জেলা, এমন চিত্র এখন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে জ্বর-সর্দিতে কাবু শিশুদের ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। শিশু ভর্তির বিপুল চাপ সামাল দিতে হিমশিম দশা হচ্ছে হাসাপাতলগুলোর। কোনো কোনো হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যার ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই এক বেডে ২-৩ জন শিশুকে রাখা হচ্ছে বলে খবর সামনে এসেছে।


গত কয়েকদিনেই জ্বর-শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে কলকাতায় ১২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শহরে একের পর এক হাসপাতালে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে বাড়ছে রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্ক।


বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, সময় নষ্ট না করে রাজ্য সরকারের উচিৎ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বসা। প্রাথমিক পর্যায়ে করোনা প্রতিরোধের চেষ্টা না করে করোনা লুকনোর চেষ্টা চলে রাজ্যে। সে কারণেই সেসময় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। ভুল তথ্য লেখা হতো। এখানেও সরকার একই ভুল করছে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বসা উচিৎ। কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য নেওয়া উচিৎ রাজ্য সরকারের।


বিবার্তা/মাসুম/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com