ভারতের মহারাষ্ট্রে ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ১৯২ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন শতাধিক মানুষ। আগামী তিন দিন এ ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে।
দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাতে মঙ্গলবার ইন্ডিয়া টুডে জানায়, আজ আরও ২৮টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯২ হয়।
রাজ্য সরকার জানিয়েছে, কোঙ্কন ও রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে বেশ কয়েক দিন ধরে ভারী বর্ষণের কাছে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এ পর্যন্ত দুইল লাখ ২৯ হাজার মানুষকে বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ভূমিধস ও বন্যার ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৪৮ জন।
গত ২২ জুলাই থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয় মহারাষ্ট্রে। তাতে মুম্বাইসহ একাধিক এলাকা পানির নিচে। গত ৪০ বছরে জুলাই মাসে এই পরিমাণ বৃষ্টি মহারাষ্ট্রে হয়নি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
সরকারি তথ্যানুযায়ী, ৯ জেলার ৮৯০ গ্রাম বন্যা ও ভূমিধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব এলাকা থেকে প্রায় ২ লাখ ২৯ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯২ জনে এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছে শতাধিক মানুষ। সোমবার পর্যন্ত রায়গড়ে সবচেয়ে বেশি ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাঁতরায় ৪১ জন, রত্নগিরিতে ২১ জন, থানে ১২ জন, কোলাপুরে ৭ জন, মুম্বাইয়ে ৪ জন এবং সিন্ধুদুর্গ-পুনে-ওয়ারদা-আকোলা জেলায় ২ জন করে মারা গেছেন।
বন্যার জলে মহারাষ্ট্রের সাংগলি জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা পানির নিচে। ওয়ারানা নদী ফুলে উঠেছে, তাই জলের স্তর ক্রমশ বাড়ছে। দেশের আবহাওয়া দপ্তর পাঁচটি জেলায় লাল সতর্ক বার্তা জারি করেছে।
বিবার্তা/আরকে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]