নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবায়— নিরাপদ মাতৃত্ব ও সুস্থ-সমৃদ্ধ জাতি
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৩, ০৯:১৩
নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবায়— নিরাপদ মাতৃত্ব ও সুস্থ-সমৃদ্ধ জাতি
এস এম রিয়াদ রহমান
প্রিন্ট অ-অ+

স্মৃতির বয়স ১৮ বা ১৯। বছরখানেক আগে বিয়ে হয়েছে। এখন সন্তানসম্ভাবা। গর্ভে ৯ মাস ২০ দিনের সন্তান। মা জীবিত না থাকায় শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। শাশুড়ি অসুস্থ, তাই শরীরের অবস্থা খারাপ জেনেও বাড়ির সব কাজ করতে হয় তাকেই। স্বামী ব্যাবসার কাজে হাটে-বাজারে ব্যস্ত থাকেন। কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ পেটে ব্যথা বাড়তে থাকে। তার শাশুড়ি জানতে পেরে ছেলেকে ও মেয়ের বাবার বাড়ি খবর পাঠান। ততক্ষণে ব্যথা আরও বেড়ে যায়। বাবা এসে দেখেন স্মৃতি চিৎকার করে কাঁদছে, পাশে শাশুড়ি বসে আছে, অনেকেই দাঁড়িয়ে দেখছে। বাবা দ্রুত মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, ডেলিভারির সময় তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে তবে সন্তান সুস্থ আছেন।


‘আমার মেয়ে চলে গেছে, জন্ম দিয়েছে একটি ফুটফুটে মেয়ের। সেই মেয়েটি (নাতনি) মা হওয়ার সময় যাতে অনিরাপদ মাতৃত্বে না থাকেন’—আবেগ আপ্লুত হয়ে কথাগুলো বলছিলেন নিরাপদ মাতৃত্বের অভাবে মারা যাওয়া স্মৃতির বাবা মো. আফছার আলী।



শুধু স্মৃতি নয়, প্রতিদিন তার মতো অনেক গর্ভবতী মা সন্তান প্রসবের সময় সঠিক পরিচর্চা, নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত না করার ফলে অকালে মৃত্যুবরণ করে স্মৃতির পাতায় চলে যাচ্ছে।



জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষের যুগেও অনেক নারীকে মা হওয়ার সময় মৃত্যুবরণ করতে হচ্ছে। দেশে সন্তান প্রসবের সময় মাতৃমৃত্যু কমলেও তুলনামূলক তা খুবই কম। তাই এ বিষয়ে সমাজের সবাইকে হতে হবে সচেতন। তবেই হবে 'নিরাপদ মাতৃত্ব' কমবে মৃত্যু, বাঁচবে হাজারও মা—এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।


বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভকালীন, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী সময়ে সব নারীর জন্য নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণই হলো নিরাপদ মাতৃত্ব। মা হওয়ার সময় দরকার সঠিক পরিচর্চা ও বাড়তি যত্ন। এ ছাড়াও পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র থেকে তাকে বাড়তি সহযোগিতা করা উচিত।


২৮ মে ছিল নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস। বাংলাদেশে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন শুরু হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রথম সরকার গঠিত হওয়ার পর থেকে। ১৯৮৭ সালে কেনিয়ায় অনুষ্ঠিত নাইরোবি কনফারেন্সে প্রথম নিরাপদ মাতৃত্বের ঘোষণা দেওয়া হয়।


এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ২০০০ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশ মাতৃমৃত্যু কমানো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে এ বিষয়ে অনুমোদন দেন। ১৯৯৮ সাল থেকে দেশব্যাপী নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন শুরু হয়।


সরকারের এ উদ্যোগকে ২০১৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টেকসই উন্নয়নের অন্তর্ভুক্ত করে। নিরাপদ মাতৃত্বের কার্যক্রম পরিচালনা করে সরকার ও বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংগঠন। এসব কার্যক্রমে ২০০০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মাতৃমৃত্যুর হার ৩৮ শতাংশ কমে।


টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ সালের মধ্যে কিছু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রতিশ্রুতি আছে। বলা হয়েছে, প্রশিক্ষিত জনবলের মাধ্যমে প্রসব–পূর্ববর্তী সেবার আওতায় ৯৮ শতাংশ গর্ভবতীকে আনতে হবে।


ওই সময়ের মধ্যে দেশের ৯৮ শতাংশ প্রসবে মায়ের পাশে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী থাকতে হবে। সেবার মান উন্নত না করলে দেশে মাতৃমৃত্যু কমানো সম্ভব হবে না।



বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, একজন মা গর্ভাবস্থা, প্রসব অবস্থা ও প্রসব পরবর্তী ৪২ দিনের মধ্যে মারা গেলে ওই ঘটনাকে ‘মাতৃমৃত্যু’ হিসেবে গণ্য করা হয়। সংস্থাটি বলছে, প্রসবজনিত জটিলতায় সারা বিশ্বে প্রতিদিন ৮০০ মাতৃমৃত্যু হয়। এর ৯৯ শতাংশ মৃত্যুই উন্নয়নশীল দেশে হয়ে থাকে। পাশাপাশি প্রায় সাত মিলিয়ন নারী প্রসব পরবর্তীতে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন। এ ছাড়া আরও ৫০ মিলিয়ন নারী প্রসবের পর নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় ভোগেন।


ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১২ হাজার নারী গর্ভধারণ ও গর্ভধারণ সংক্রান্ত কারণে মারা যান।



দেশের উচ্চবিত্ত ও ধনী পর্যায়ের নারীরা মাতৃত্বকালীন বিভিন্ন সুবিধা পেলেও এ সময় তেমন কোনো সুবিধা পান না গ্রামের নারীরা। গর্ভে সন্তান নিয়ে প্রতিদিন নানান কাজ করেন গ্রামের দরিদ্র ও নিন্ম আয়ের পরিবারের নারীরা। এমনকি অন্তঃসত্ত্বা মাকেও কাজ চালিয়ে যেতে হয় সন্তান প্রসবের আগের দিন পর্যন্ত। আবার অনেকে অন্তঃসত্ত্বা মাকে হাসপাতালে পর্যন্ত নিয়ে যেতে চান না সিজার করাসহ নানা ভয়ে।


ফেনীর মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের ডা. নাসরীন মুক্তা বিবার্তাকে বলেন, "আমাদের দেশে শহরের নারীরা মাতৃত্বকালীন সেবা গ্রহণ করলেও গ্রামের অধিকাংশ নারী মাতৃত্বকালীন সেবা গ্রহণ করে না। আর অনেকে সেবা গ্রহণ করলেও সে অনুযায়ী চলছেন না, অবহেলা করছেন। বলতে পারেন সচেতনতার অভাব। অনিরাপদ মাতৃত্বে শুধু যে মায়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে তা নয় সন্তানেরও ঝুঁকি রয়েছে। সময়ের আগে জন্ম নেওয়া, কম ওজনের শিশুর জন্ম হওয়া, এমনকি গর্ভাবস্থায় শিশুর মৃত্যুও হতে পারে।"


"মাতৃত্ব অনেক কঠিন। সাধারণত নিরাপদ মাতৃত্বের সঠিক সময় ১৮ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত। এর কম অথবা বেশি বয়সে গর্ভধারণে মায়ের ও শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। বাচ্চা প্রসবের সময় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনকি প্রসবকালীন সময় মৃত্যুও হতে পারে।"


দেশে নিরাপদ মাতৃত্ব কতটা নিশ্চিত হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "এই আধুনিক সময়েও মানুষ অসচেতন, এত ঝুঁকিপূর্ণ সময়েও পরিবার থেকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। বিশেষ করে গ্রামের পরিবারগুলো, তারা হাসপাতালে আসতে চায় না। সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে পরিবার থেকে। তবে সচেতনতা নিরাপদ মাতৃত্বের সুফল বয়ে আনে। প্রত্যেকটি পরিবারকে নিরাপদ মাতৃত্বের সঠিক সময় সম্পর্কে জানতে হবে। হাসপাতালে এসে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলবে। তবেই নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করার অনেকটা পথ এগিয়ে যাবে।"


বিশিষ্ট প্রজনন ও নারী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. হালিদা হানুম আখতার বিবার্তাকে বলেন, জন্মের পর থেকেই একটি মেয়েকে বৈষম্যের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠতে হয়। খাওয়া থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে তাকে বৈষম্যের শিকার হতে হয়। আর বয়স ১৪ হতেই বিয়ে! বিয়ে দিয়ে দায়িত্ব শেষ মনে করছে পরিবার। মতের বিরুদ্ধে অল্প বয়সেই মেয়েকে বিয়ে দিচ্ছে, আবার পরিবারের সিদ্ধান্তেই সে গর্ভধারণ করছে। ফলাফল, ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে মেয়েটি। প্রাপ্তবয়স্ক নারীর গর্ভধারণের তুলনায় কিশোরী বয়সে গর্ভধারণ করলে মাতৃমৃত্যুর আশঙ্কা দ্বিগুণের বেশি। এর মানে আমরা এই মেয়েদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছি। বাবা-মার সমস্যার কারণে, সামাজিক সমস্যার কারণে, নিরাপত্তা দিতে না পারার আশঙ্কা থেকে মেয়েকেই ভিকটিম করা হচ্ছে। তাকেই হাঁড়িকাঠে তোলা হচ্ছে। বিয়ের পরও যে মেয়েটি ভালো থাকছে তা তো নয়।


তিনি আরো বলেন, এখনও পর্যন্ত সমাজের যে দৃষ্টিভঙ্গি তা বদলাতে না পারলে নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করা যাবে না। আর মা যদি নিরাপদ না থাকে তাহলে কোনোকিছুই নিরাপদ না।


বাংলাদেশের জাতীয় মাতৃস্বাস্থ্য কৌশল হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব ৪৭ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৮৫ শতাংশে উন্নীত করা এবং দক্ষ ধাত্রীর মাধ্যমে প্রসবের হার ৫০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত করা। পাশাপাশি মাতৃমৃত্যুর হার এবং নবজাতকের মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা। গর্ভকালীন সময়ে কমপক্ষে ৪ বার গর্ভকালীন সেবা গ্রহণের হার ৩৭ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে উন্নীত করা।


স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে প্রতি লাখে জীবিত শিশুর জন্ম দিতে গিয়ে মাতৃমৃত্যু ১৬৫ জন, যা ২০০৯ সালে ছিল ২৫৯ জন। গত ১০ বছরে মাতৃমৃত্যু হার কমেছে প্রতি লাখে জীবিত শিশুর জন্মে প্রায় ৯৪ জন। যদিও গত ১০ বছরের পরিসংখ্যানে কিছুটা উন্নতি হয়েছে।


দেশের গর্ভবতী মায়েরা প্রথমে প্রসব–পূর্ববর্তী সেবা নিলেও পরবর্তীতে এ সেবার বাইরে থেকে যাচ্ছে প্রায় অর্ধেক মা।


আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), নরওয়ের বার্গেন বিশ্ববিদ্যালয় ও নরওয়েজিয়ান ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ এবং যুক্তরাষ্ট্রের টেকোমা–পিয়ার্স কাউন্টি স্বাস্থ্য বিভাগের আটজন গবেষক বাংলাদেশে প্রসব–পূর্ববর্তী সেবা ও প্রসবসেবা নিয়ে ৩ হাজার ২৯৩ জন গর্ভবতী মায়ের ওপর একটি গবেষণা করেছেন। ২০১৮ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত এসব মাকে গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।


ওই গবেষণায় দেখা যায়, ৯৮ শতাংশ গর্ভবতী মা কমপক্ষে একবার প্রসব–পূর্ববর্তী সেবা নিয়েছেন। দুবার সেবা নেওয়ার হার ৯১ শতাংশ। দেখা গেছে, প্রয়োজনীয় সেবার পরিমাণ যত বাড়ছে, সেবা নেওয়া মায়ের হার তত কমছে। গবেষকেরা দেখেছেন, তিনবার প্রসব–পূর্ব সেবা নিয়েছেন ৭৪ শতাংশ মা এবং চার বা তার বেশিবার সেবা নিয়েছেন ৫২ শতাংশ মা। অর্থাৎ প্রয়োজনীয় প্রসব–পূর্ববর্তী সেবার বাইরে থেকে যাচ্ছেন প্রায় অর্ধেক মা।


মাতৃস্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রসব–পূর্ব সেবা নিতে হবে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর কাছ থেকে। পাশাপাশি প্রসব হতে হবে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তায়। দুটি ক্ষেত্রেই সমাজের দরিদ্র শ্রেণি পিছিয়ে।


বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সমাজের সবচেয়ে দরিদ্র শ্রেণির ৩৫ শতাংশ মা প্রসব–পূর্ববর্তী সেবা পান প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর কাছ থেকে। সমাজের সবচেয়ে ধনিক শ্রেণির মধ্যে এই হার ৮৮ শতাংশ।


প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তায় প্রসব হলে মাতৃ ও নবজাতক মৃত্যুর ঝুঁকি কমে। বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপের তথ্য বলছে, সমাজের সবচেয়ে দরিদ্র শ্রেণির মাত্র ১৮ শতাংশ প্রসূতি প্রসবের সময় প্রশিক্ষিত ও দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তা পান। সবচেয়ে দরিদ্র শ্রেণির ৮২ শতাংশ মায়ের প্রসবের সময় পাশে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী থাকে না। সবচেয়ে ধনিক শ্রেণির ৭৩ শতাংশ মা প্রসবের সময় প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর সহায়তা পান।


এ নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. তানিয়া হক বিবার্তাকে বলেন, মা হওয়া খুবই আনন্দের বিষয়। একইসঙ্গে এটা একটা কঠিন সময়ও। কোনো কোনো সময় মেয়েরা এ রুলটা প্লে করতে গিয়ে সন্তান জন্ম দিতে গেলে তার নানাবিধ ক্রিটিক্যাল ক্রাইসিসে পড়ে। কারণ, তখন লাইফটা থ্রেটফুল হয়ে ওঠে। একজন নারী যখন প্রথমে গর্ভধারণ করে তখন থেকে বাচ্চা হওয়ার পরেও খুব কঠিন একটা সময় যায় তাদের জন্য। এগুলো আমরা সাধারণত কনসিডার করি না। কারণ আমাদের সোসাইটিতে সোশ্যাল অ্যায়ারনেসে এগুলো নাই। স্বাভাবিকভাবে একটি শিশু হলে নরমাল! ইয়েস ইটস নরমাল। কিন্তু যে ঘটনাটি ঘটতেছে তা একেবারে নরমাল না। এ সময় তার বাড়তি সাপোর্ট দরকার, বাড়তি কেয়ার দরকার, বাড়তি পুষ্টি দরকার, বাড়তি মানবিকতা দরকার। বিশেষ করে ভালোবাসাটা সবচেয়ে বেশি দরকার এ সময়ে।


তিনি বলেন, খাওয়া-দাওয়া অন্যান্য জিনিসের পাশাপাশি সন্তানসম্ভবা যেন বিশ্রামে থাকে। কারণ সে তো ডাবল রোল প্লে করছে, তার ভেতরে আরও একটি সন্তান রয়েছে যাকে সে ক্যাপচার করছে। সে যতক্ষণ ভালো থাকবে তার সন্তানের উপরও সে প্রভাবটা আসবে। সুতরাং আমরা যদি সত্যিকারের স্বার্থপর হই, আমরা যে সন্তান হয়ে যাবার পর চিৎকার করতে থাকি, হয়ে যাওয়ার আগেও একটা বিকর্ষণের জায়গা থাকে সেটাকে আমরা সঠিকভাবে বিবেচনা করি না।


যখন একজন নারী গর্ভধারণ করেন তখন তাকে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র থেকে এক্সট্রা সাপোর্ট ডেফিনেটলি দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তানিয়া হক। তিনি বলেন, একজন গর্ভবতী নারী মানষিকভাবে দুর্বল থাকে, সবার অবস্থা তো এক হয় না মনের দিক থেকে (প্রাকৃতিক)। প্রাকৃতিক হলেও সে জায়গাটাকে এক্সট্রা সাপোর্ট দেওয়া প্রয়োজন।


ড. তানিয়া হক আরও বলেন, এটা অনেক সম্মানের একটা জায়গা। একটা নারীকে আসলে আমরা সেভাবে সম্মান দিতে পারি না। তবে এ জায়গাগুলো দেওয়া উচিত।


বিবার্তা/রিয়াদ/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com