শিরোনাম
সাধারণ জ্বর নাকি করোনা, সুস্থ থাকতে যা করবেন
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২১, ১৫:১৮
সাধারণ জ্বর নাকি করোনা, সুস্থ থাকতে যা করবেন
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

বর্ষার এই হঠাৎ হঠাৎ পাল্টে যাওয়া আবহাওয়া শরীরের ওপর বিরাট প্রভাব ফেলছে বৈকি। এই সময়ের আবহাওয়া জ্বর, সর্দি-কাশি হওয়ার জন্য বেশ উপযোগী। বর্ষাকালে একাধিক ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয় মানুষ। কিন্তু বর্তমানে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও করোনাভাইরাসের দাপটে প্রায় একই উপসর্গ দেখা দিচ্ছে মানুষের শরীরে। তবে করোনাকালে সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশির লক্ষণ দেখেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ভেবে অনেকেই ভুল করেন।


বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশ কিছু উপসর্গ রয়েছে যা দেখে প্রাথমিকভাবে বোঝা যেতে পারে এটি মৌসুমি অসুস্থতা নাকি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের প্রভাব। মনে রাখবেন, জ্বর হতে পারে কিন্তু তারও তারতম্য রয়েছে।


জেনে নিন যেসব উপসর্গ দেখে বোঝা যাবে রোগের ধরণ-


ডেঙ্গু : এ রোগে আক্রান্ত রোগীর শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যায়। ক্লান্তি, বমি-বমি ভাব, সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রচন্ড ব্যথা- এসব উপসর্গ ডেঙ্গুর লক্ষণ।


চিকুনগুনিয়া : ধীরে ধীরে শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া। অবসাদ, ঠান্ডা লাগা, ত্বকে ফুসকুড়ি, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, দুটি চোখের পিছনের অংশে অসহ্য যন্ত্রণা, তলপেটে ও পেশিতে ব্যথা অনুভব।


ম্যালেরিয়া : ধুম জ্বর, কখনো কমবে বা কখনো বেড়ে যাবে। শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা বেদনা, খুব ঘাম হবে, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাবে, ডায়রিয়া ও জন্ডিসের বেশকিছু লক্ষণও দেখা দেবে।


ভাইরাল জ্বর: গায়ের তাপমাত্রা কখনো বাড়বে আবার কখনো কমে আসবে। প্রচন্ড দুর্বল লাগবে। ডিহাইড্রেশন দেখা দেবে। একেবারেই খেতে ইচ্ছা করবে না।


জ্বর, সর্দি, হাঁচি-কাশি হলে ঘরে শুয়ে বসে বিশ্রাম নেবেন। হালকা খাবার খাবেন। হালকা গরম পানি খাবেন। দরকার মতো প্যারাসিটামল, কাশির ওষুধ খাবেন একটু আধটু। নরমাল স্যালাইন ড্রপ দেবেন নাকে। হাঁচি-কাশির সময় পরিষ্কার রুমাল ব্যবহার করবেন। শিশু, বয়ষ্ক, রুগ‌্ন ও গর্ভবতীদের থেকে দূরে থাকবেন।এভাবেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ভাইরাসকে কাবু করা যাবে। তখন বুঝতে হবে এটা সাধারণ ফ্লু-ই ছিলো।


যদি করোনায় আক্রান্ত হন-


দুই থেকে ১৪ দিনের মধ্যে করোনার লক্ষণ শুরু হয়। এই সময়ে এক থেকে চার দিনের মধ্যে জ্বর দেখা দিতে পারে। হাঁচি, কাশি শুরু হবে এক থেকে তিন দিনের ভিতরে। উপসর্গ ধীরে ধীরে দেখা দিতে থাকবে। শুরু হতে পারে কাশি, শ্বাসকষ্ট। এরই সঙ্গে থাকতে পারে জ্বর, দুর্বল ভাব, নাকে অস্বস্তি।


এক্ষেত্রে আপনি স্বাদ ও গন্ধ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, ডায়রিয়া, জ্বর জ্বর ভাব। এক থেকে দু দিন জ্বরের তাপমাত্রা ১০৩ ছুঁয়ে গেলেও মোটের উপর ৯৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকবে শরীরে। শ্বাস নেয়া সমস্যা হবে। প্রচন্ড ক্লান্তি ঘিরে ধরবে। সব সময় মনে হবে ঘুম পাচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে গলায় ব্যথা হতে পারে।


সুস্থ থাকতে প্রথম থেকেই গরম পানিতে গার্গল করুন। পুষ্টিকর খাবার খান। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন টাটকা সবজি, ফল, অশ্বগন্ধা, আমলকি। তুলসি পাতা ফুটিয়ে মধু দিয়ে পান করুন। ভেষজ চা পান করার বিকল্প নেই। দিনে অন্তত দুইবার করে গরম ভাপ নিন। কারণ সামান্য ভুলের জন্য পরিবারের সবাই আক্রান্ত হতে পারেন। যদি কোনো উপসর্গ দেখা যায়, প্রথমেই করোনা আক্রান্ত রোগীকে আইসোলেট করতে হবে। প্যানারয়েড হওয়াটাই সেরা কৌশল। কারণ করোনা খুবই সংক্রামক ব্যাধি। প্রথম উপসর্গেই আলাদা করতে হবে। সবসময় মাস্ক ব্যবহার করুন।


আপনি যদি অসুস্থ বোধ করার পর নিশ্চিত না হন যে কী হয়েছে তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন৷ একজন চিকিৎসক আপনার কফ পরীক্ষার পর নিশ্চিত হতে পারবে আপনি করোনায় পজিটিভ না নেগেটিভ।


বিবার্তা/অনামিকা/বিআর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com