গতকাল থেকে সকলের মুখে মুখেই রোজিনা ইসলাম! তার মুক্তির জন্য সাংবাদিকদের আন্দোলন,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার মুক্তি দাবি, কোন কিছুতেই কিছু হলো না!! তার জামিন না মন্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে মহামান্য আদালত। রোজিনা আপা এখন আদালতের বিষয়- সকলের মতো আমিও তার মুক্তি চাই।

রোজিনা আপার সাথে আমার সম্পর্কটা অনেকটাই পারিবারিক, মিঠু ভাই, ছাত্রলীগের দূঃসময়ের কান্ডারী। ছাত্রলীগ ছাড়ার পর অনেকের সাথেই দেখা হয়না কিন্তু মিঠুভাই'র সাথে দেখাটা প্রতিদিনের রুটিন। দুজনে দুজনের মেয়েকে স্কুলে দিয়ে একসাথে বসে চা খাই (পান করি), আড্ডা দেই। এক কথায় মিঠু ভাই আমার একজন পছন্দের ব্যক্তিত্ব। মেয়ের সুবাদে রোজিনা আপাও আমার অনেক কাছে চলে এসেছে।

রোজিনা আপার উপর হামলার এই ছবিটা দেখে আমার মনে অনেক প্রশ্ন জেগেছে। অনেকেই বলেছেন তাকে হেনস্তা করা হয়েছে - এটা কি শুধুই হেনস্তা? যে আইন/আদালত রেজিনা আপার জামিন না মন্জুর করলেন, আইনের সেই নিরপেক্ষ চোখের সহজ ভাষায় এটা হতে পারে এটেম টু মার্ডার। হামলাকারী এই ভদ্রলোক/ ভদ্রমহিলাদের ব্যাপারে আইন/আদালত কি আদৌ কোন ব্যবস্থা নেবেন?

একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে মনে করি, প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা কর্মচারীরা হলেন প্রজাতন্ত্রের তথা জণগণের সেবক। একজন অফিসারের এমন আচরনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটা সুস্পষ্ট ব্যখ্যা থাকা দরকার।

নিজের মুখ ঢেকে একজন সিনিয়র সাংবাদিকের গলাটিপে ধরার এই ছবিটা কি উদ্দেশ্য প্রনোদিত? ক্যামেরা থেকে আড়াল করতে চাইলে সবার আগে তো স্বাভাবিক নিয়মেই গলা থেকে তার হাত সরে যাবার কথা! তা না করে সুকৌশলে নিঁখুত ভাবে ওড়নায় ঢেকে দিয়েছেন নিজের হিংস্র মুখটা।

দিনশেষে আমার পরিচয়-আমি একজন সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী। সহযোদ্ধার হৃদয়ের রক্তক্ষরণে আমার হৃদয়েও রক্ত ঝরে। মিঠু ভাই'কে সান্ত্বনা দেবার মতো কোন ভাষাই আজ আমার কাছে নেই। শুধু ক্ষমা চাওয়া ছাড়া।

পরিশেষে বলবো, সরকারকে বাঁশ দেওয়ার জন্য (সবাই কিন্তু নয়) এমন দুই একটা মন্ত্রণালয় আর গুটি কয়েক মন্ত্রী/সচিব/কর্মকর্তাই যথেষ্ট! অতএব সাধু সাবধান।

(মারুফা আক্তার পপির ফেসবুক থেকে)

বিবার্তা/আবদাল