চীনকে পেছনে ফেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) নিট পোশাক রফতানিতে শীর্ষে উঠে গেছে বাংলাদেশ। দাম ও পরিমাণ, উভয় ক্ষেত্রেই এখন ইইউতে শীর্ষ নিট পোশাক রফতানিকারক বাংলাদেশ। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে বাংলাদেশ থেকে ইইউভুক্ত দেশগুলো ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারের নিট পোশাক নিয়েছে।
একই সময়ে চীন থেকে তারা ৮৯৬ কোটি ডলারের নিট পোশাক আমদানি করে। বছরের ৯ মাস বিবেচনায় প্রথমবারের মতো ইইউতে বাংলাদেশের নিট পোশাক রফতানি চীনকে ছাড়িয়ে গেল। একইসঙ্গে পরিমাণের দিক থেকেও শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।
এদিকে বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেয়ার কোনো কারণ নেই এবং এর যুক্তিও দেখছেন না বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। এজন্য সংগঠনটি উদ্বিগ্ন নয় বলে জানালেন বিজিএমই’র সভাপতি ফারুক হাসান।
ফারুক হাসান জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো রকম শুল্ক মুক্ত সুবিধা পাচ্ছে না দেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও নতুন বেতন কাঠামো নিয়ে কাজ করছে তারা। শ্রম আইন যেন কোনো রকম লঙ্ঘন না হয়, সেদিকেও নজর রাখছে বিজিএমইএ।
তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে দেশের ক্ষতি যেন না হয় এবং পোশাক খাতের পণ্য রফতানিতে যেন বাধা তৈরি না হয় সেইদিকে খেয়াল রাখবেন রাজনৈতিক নেতারা।
বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান জানান, গত বছর ইইউতে পরিমাণের দিক থেকে বাংলাদেশ নিট পোশাক রপ্তানিতে চীনকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। গত বছর ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রফতানির পরিমাণ ছিল ১৩৩ কোটি কেজি। একই সময়ে ইইউতে চীনের পোশাক রফতানির পরিমাণ ছিল ১৩১ কোটি কেজি।
ওই বছর ইইউতে বাংলাদেশ ৭৩০ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করেছিল, যা ছিল চীনের চেয়ে কম। কিন্তু এ বছরের প্রথম ৯ মাসে প্রথমবারের মতো নিট পোশাক রফতানিতে চীনকে টপকে গেছে বাংলাদেশ। এটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্ব ও আনন্দের বিষয়।
তৈরি পোশাক রফতানিতে শীর্ষ কয়েকটি গন্তব্যের অন্যতম হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো। এ বাজারে বাংলাদেশের রফতানি বাড়লে সামগ্রিকভাবে তা রফতানির প্রবৃদ্ধিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]