চিনির দাম বাড়ানো সঠিক সিদ্ধান্ত: বাণিজ্যমন্ত্রী
প্রকাশ : ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:৫১
চিনির দাম বাড়ানো সঠিক সিদ্ধান্ত: বাণিজ্যমন্ত্রী
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

মূল্যবৃদ্ধি তখনই করা হয় যখন প্রয়োজন হয় বলে মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন চিনির দাম বাড়ানো সঠিক সিদ্ধান্ত। সার্বিক দিক বিবেচনা করে যে দাম হওয়া উচিত সেটাই নির্ধারণ করা হয়েছে। আবার যখন কমানো প্রয়োজন, তখন কমানো হবে।


২৬ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার মতিঝিলে এমসিসিআই-এ একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।


বাজারে চিনির সংকটের মধ্যেই আজ দুপুরে আবারও পণ্যটির দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসআরএ)। খুচরা পর্যায়ে কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে খোলা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে নতুন দাম।


এ বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মূল্যবৃদ্ধি তখনই করা হয় যখন প্রয়োজন হয়। মূল্যায়ন করেই এটা করা হয়। যে দাম হওয়া উচিত বিভিন্ন হিসাব নিকাশ করেই এটা করে। সে হিসাব নিকাশ করেছে চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে। এটা যদি এড্রেস না করা হয় তাহলে ফলাফল ভিন্ন হবে। বাজারে চিনি পাওয়াই যাবে না। এটা বিবেচনা করেই করে যেটা হওয়া উচিত সেটা করা হয়েছে। আবার যখন কমার প্রয়োজন তখন কমাবে।


মিল থেকে চিনি বের করতে হলে ১৬ থেকে ১৭ দিন লেগে যায়। আর এর জন্য প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার টাকা করে বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে কিনা জানাতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এটা আমরা শুনেছি। আমরা চেষ্টা করছি এটা যেন না হয়।


‘চিনিকলগুলো যখন উৎপাদন সীমিত করে ফেলছে তখন ব্যবসায়ীরা চিনির দাম ইচ্ছা মতো বাড়াচ্ছে’ সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, এটা (আপনাদের) ভুল ধারণা। দেশে যে পরিমাণ চিনি উৎপাদন হয় তা মোট প্রয়োজনের ১ শতাংশ। চিনির দামের ক্ষেত্রে এটা কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না। দেশে উৎপাদিত চিনির পরিমাণ ৫০ হাজার টন। আমাদের চিনির চাহিদা পূরণ করতে হয় আমদানি করে। গ্লোবাল মার্কেটে চিনির দাম বেড়েছে। যার জন্য সমস্যাটা হয়েছে। পাশাপাশি আমরা চেষ্টা করছি, যাতে ভ্যাটটা একটু কমিয়ে দেওয়া হয়। যাতে দামে প্রভাব পড়ে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, জাহাজে যে পণ্য ছিল সেগুলো গত পরশু থেকে খালাস শুরু হয়েছে। আর বাংলাদেশ ব্যাংক চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছে যাতে তারা এলসি খুলে। ব্যাংক তাদের আস্থার ভিত্তিতে পণ্য আমদানিতে এলসি খুলে থাকে। সেই আস্থার জায়গা থেকেই ব্যাংকগুলো বড় বড় প্রতিষ্ঠানের এলসি খুলছে। ছোট গ্রুপগুলোরও ব্যাংক টু গ্রাহকের আস্থার ভিত্তিতে এলসি খুলে থাকে। ব্যাংকগুলোতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রমজানের পণ্য যেন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে খুলে থাকে।


গ্যাসের দাম কমানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে উদ্যোক্তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চায়। গ্যাসের দাম অ্যাডজাস্ট করার জন্য যখন নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন তারা বলেছিলেন যাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবারহ হয়। কিন্তু যখন গ্যাসের দাম বাড়ানো হলো, তখন তারা বলছেন, দাম একটু বেশি হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে তারা কথা বলবেন বলে আমাদের বলেছে।


বিবার্তা/রিয়াদ/জামাল

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com