শিরোনাম
করোনার মধ্যেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি : এডিবি
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২১, ২১:১৪
করোনার মধ্যেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি : এডিবি
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ের উপর ভর করে করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।


অর্থনীতির পরিস্থিতি নিয়ে এপ্রিলে প্রকাশিত ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০২১’শিরোনামে সংস্থাটির শীর্ষ প্রতিবেদনের হালনাগাদ নিয়ে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত সম্পূরক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।


এতে চলতি বছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে কিছু উল্লেখ না থাকলেও দক্ষিণ এশিয়াসহ পুরো উন্নয়নশীল এশিয়ার প্রবৃদ্ধির হার আগের পূর্বাভাসের চেয়ে সামান্য কমিয়ে ধরা হয়েছে।


২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তথ্য তুলে ধরা বলা সম্পূরক প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বছরের ব্যবধানে রফতানি আয়ে ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রার আয়ে ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির পুনরুদ্ধার অব্যাহত রয়েছে।


গত বছরের এপ্রিল শেষে এক বছরের ব্যবধানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আদায় করা রাজস্ব আয়ে ১২ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথাও তুলে ধরেছে এডিবি।


তবে এপ্রিলের শুরুতে করোনাভাইরাস মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে দেশজুড়ে আরোপ করা বিধিনিষেধের কারণে ‘ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড যে বিঘ্নিত হয়েছে’ তাও এডিবির সম্পূরক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।


উন্নয়ন সংস্থাটি বলছে, অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির গতি শ্লথ হওয়ায় এপ্রিল পর্যন্ত গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে, যা পুরো বছরের পূর্বাভাস ৫ দশমিক ৮ শতাংশের কিছুটা কম।


সম্পূরক প্রতিবেদনে এডিবি বলেছে, সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ের কারণে ২০২১ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধি আগের পূর্বাভাসের চেয়ে কিছুটা কমে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ হতে পারে, যা কিছুটা কমে পরের বছর ৭ শতাংশ হতে পারে।


ভারতের প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ এপ্রিলের ১১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ ধরা হয়েছে সম্পূরক প্রতিবেদনে, যেখানে ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৫ হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।


কয়েকটি দেশে নতুন করে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় ২০২১ সালে পুরো উন্নয়নশীল এশিয়ার প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ সংশোধন করে এপ্রিলের ৭ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে জুলাইয়ে ৭ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।


তবে ২০২২ সালের প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ ৫ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ ধরা হয়েছে।


মহামারীর ধাক্কায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসে, যা আগের অর্থবছরে ৮ দশমিক ২ শতাংশ ছিল।


গত অর্থবছরের বাজেটে সরকার ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও মহামারীর বাস্তবতায় পরে তা ৭ দশমিক ৪ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।


তবে গত ২৮ এপ্রিল প্রকাশিত ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০২১’ প্রতিবেদনে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে বলে প্রক্ষেপেণ তুলে ধরা হয়।


আর বিশ্ব ব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ বলেছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হতে পারে সাড়ে ৭ শতাংশ।


বিবার্তা/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com