
রাজু রাজ, এই সময়ের একজন আলোচিত সিনেমাটোগ্রাফার। তার ক্যামেরায় নিপুন হাতের কাজ, তার আচার আচরণ’র কারণে নির্মাতা এবং শিল্পীদের কাছে বলা যায় অল্প সময়েই প্রিয় একজন হয়ে উঠেছেন তিনি।
যে কারণে কোন নির্মাতা নাটক, টেলিফিল্ম কিংবা বিজ্ঞাপন নির্মাণ করতে গিয়ে রাজু রাজের সিডিউলটার কথাও একটু চিন্তায় রাখেন। কারণ মাসজুড়েই রাজু রাজকে কাজ নিয়ে দারুণ ব্যস্ত থাকতে হয়।
গত ৫ এপ্রিল চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার করা নতুন মেহেদীর বিজ্ঞাপনটির ক্যামেরাম্যান ছিলেন তিনি। আবার গতকাল থেকে ধ্রবগ্রহ’র একটি মিউজিক ভিডিওর শুটিং শুরু করেছেন তিনি রাজধানীর পুরোনো ঢাকায়।
খুব গুছিয়ে ধরে ধরে কাজ করার জন্য তার হাত ধরে কাজ প্রশংসিত হয়েছে অনেক বার। বড় পর্দায় চোখ রাখলেই বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে দাঁড়ায়। শাকিব খান ও বুবলীর প্রথম চলচ্চিত্র ‘বসগিরি’র সিনেমাটোগ্রাফার ছিলেন তিনি। এটি তার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র হলেও এটিই দর্শক আগে দেখেছেন। চলচ্চিত্রর প্রযোজক, পরিচালক এমনকী স্বয়ং শাকিব খান রাজু রাজের কাজে মুগ্ধ ছিলেন।
রাজু রাজের প্রথম চলচ্চিত্র তানিম রহমান অংশুর ‘আদি’, যা এখনো মুক্তি পায়নি। আসছে পহেলা বৈশাখে মুক্তি পাচ্ছে তার সিনেমাটোগ্রাফিতে ‘ধ্যাৎতিরিকি’ চলচ্চিত্রটি।
এছাড়া শুটিং শেষের পথে মিলন ও মম অভিনীত ‘স্বপ্নবাড়ি’ চলচ্চিত্রটি। সিনেমাটোগ্রাফিতে রাজু রাজের গুরু অপু রোজারিও।
বাগেরহাটের সন্তান রাজু রাজ বিবিএ সম্পন্ন করেছেন। ২০০৪ সালে আফসানা মিমি নির্দেশিত ‘কাছের মানুষ’ ধারাবাহিক টুকু খন্দকারের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০০৮ সালে তিনি আবিদ মল্লিকের নির্দেশিত দুটি বিজ্ঞাপনে প্রধান ক্যামেরাম্যান হিসেবে কাজ শুরু করেন। রিজওয়ান নির্দেশিত একটি নাটকে কাজ করার মধ্যদিয়ে নাটকের কাজ শুরু করেন।
সকাল আহমেদ, সুমন আনোয়ার, সাজ্জাদ সুমন, ইমরাউল রাফাত, মাবরুর রশীদ বান্না, মিজানুর রহমান, বি ইউ শুভ’সহ বহু গুণী নির্মাতার সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। যারা তাকে নিয়ে একবার কাজ করেছেন তারাই তাকে নিয়ে পরবর্তীতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
নিজের কাজ প্রসঙ্গে রাজু রাজ বলেন, ‘সত্যি বলতে কী একজন সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার অনেক স্বপ্ন ছিলো। স্বপ্ন পূরণের এখনো অনেক পথ বাকী। আমি আমার কাজটা মন দিয়ে করে যেতে চাই। কাজের সময় নির্মাতা’সহ শিল্পীদের কাছ থেকে আমি সবসময়ই দারুণভাবে সহযোগিতা পাই। এটা খুব জরুরি যেকোন ক্যামেরাম্যানের জন্যই।’
রাজু রাজ’র স্ত্রী চিন্ময়ী গুপ্তা, একমাত্র সন্তান আগন্তুক। শুধু ক্যামেরার কাজে পারদর্শিতার কারণেই নয় ব্যবহারে বিনয়ী এবং সদা হাস্যোজ্জ্বল থাকার কারণে রাজু রাজ সবার কাছে প্রিয় একটি নাম। বিবার্তার পক্ষ থেকে তার জন্য অভিনন্দন।
বিবার্তা/অভি/পলাশ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]