বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে চলচ্চিত্র শিল্পীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ সংবাদকর্মী ও ইউটিউবার।

২৩ এপ্রিল, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

মারামারির ঘটনায় দৈনিক খবরের কাগজের বিনোদন প্রতিবেদক মিঠুন আল মামুন ও বাংলাভিশনের ক্যামেরাপারসনসহ ১০ জনের মতো সংবাদকর্মী ও ইউটিউবার আহত হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কেন এই হামলা হলো, তা নিয়ে কথা বলেছেন সংবাদকর্মী ও শিল্পীরা। ঘটনাস্থলে থাকা এক সাংবাদিক বলেন, বাংলা চলচ্চিত্রের একসময়ের আলোচিত-সামলোচিত নায়িকা ময়ূরীর মেয়েকে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘আপনার মায়ের সিনেমা দেখে কেমন লাগে?’ এমন প্রশ্নে ক্ষেপে যান পাশে থাকা খলনায়ক শিবা শানু। সেখানে তিনি সাংবাদিকের গায়ে হাত তোলেন। এরপর হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রাথমিকভাবে জানা যায়, এক ইউটিউবারের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল শিবা শানুর। সেই সূত্র ধরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বাগবিতণ্ডার শুর। পরে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী একাধিকজনের মতে, এতে নেতৃত্ব দেন শিবা শানু, জয় চৌধুরী ও আলেকজ্যান্ডার বো।

এ ঘটনায় আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন জয় চৌধুরী। তিনি জানান, একসময়ের নায়িকা ময়ূরীর মেয়ের সাক্ষাৎকার চাওয়াতেই মারামারি সূত্রপাত ঘটে।

জয় বলেন, শপথ শেষে কার্যকরী পরিষদের মিটিং ছিল। আমরা সবাই তখন মিটিং করছি। এই মুহূর্তে ময়ূরী আপুও তার মেয়েকে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু তিনি ভেতরে ঢুকতে পারছিলেন না বাইরে লোকজনের জন্য। এমন সময় দুই-তিনজন ইউটিউবার ময়ূরী আপুর মেয়ের হাত ধরে টান দিয়ে বলছেন, “তুমি একটা ইন্টারভিউ দিয়ে যাও।” বারবার তারা এই আবদার করছিলেন।

এতে ময়ূরী আপু রেগে গিয়ে বলেন, ও তো সেলিব্রেটি না, ও ইন্টারভিউ দিয়ে কী করবে? পরে এটা দেখে শিবা শানু ভাই ইউটিউবারদের বলেছেন, এই বের হন। স্টাডি রুম থেকে বের হন।

এই কথার একপর্যায়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। হাতাহাতি হয়। তারা শিবা শানু ভাইয়ের গায়ে হাত তুলেছেন। তারা দৌড়ে গিয়ে বলছে, টিভি চ্যানেলের সবার গায়ে হাত দিছে। পরে গণ্ডগোলটা সৃষ্টি হয়েছে।

মারামারি কারা করেছে, জানতে চাইলে জয় নিজের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, দেখি যে, শানু ভাইকে মারার জন্য দেয়াল টপকে দুই-তিনজন ভেতরে ঢুকছেন। তারপরে গিয়ে আমরা চিল্লাপাল্লা শুরু করি। এফডিসি-তে প্রোডাকশনের ছেলেরা ছিল, তারা এটা দেখতে পেয়েছে যে, মারামারি লাগছে। এরপরই সংঘর্ষ বাঁধে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজল বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি যেভাবে দেখা দরকার তা আমরা দেখছি।

বিবার্তা/লিমন