
কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের অন্তত ৩০০টি কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। তবে খোলার পর হলে নিয়মিত ছাত্ররাই যাতে রুম বরাদ্দ পান তা নিশ্চিত করেন তিনি।
২৬ জুলাই, শুক্রবার দুপুরে ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত রোকেয়া হল এবং স্যার এ এফ রহমান হল পরিদর্শন করেন উপাচার্য।
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক আবু হোসেন মুহম্মদ আহসান এবং সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষদ্বয় উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে ৩০০ কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। এগুলো সংস্কারের পরই ক্যাম্পাস চালু করা হবে।
তিনি বলেন, আকস্মিকভাবে ও মুহূর্তের মধ্যেই মারমারি শুরু হয়ে যায়। সেজন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আর এ কারণেই তারা কিছু করতে পারেননি। হল প্রভোস্টরাও জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে তারাও ভাঙচুর ঠেকাতে পারেননি।
উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হলসমূহের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছ থেকে আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্নের মাধ্যমে হলসমূহ সংস্কার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হবে বলে উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রমতে, স্যার এ এফ রহমান হলে সবচেয়ে বেশি ভাঙচুর করা হয়েছে। এছাড়াও জসীম উদ্দিন হল, সূর্যসেন, জহুরুল হক, শহীদুল্লাহ, মহসীন হলে ভাঙচুর করা হয়েছে। এসব কক্ষের প্রায় সবগুলোতেই ছাত্রলীগ নেতারা থাকতেন। স্যার এ এফ রহমান হলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের কক্ষও ভাঙচুর করা হয়।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]