নানা সমস্যায় জর্জরিত জাবির নবনির্মিত আবাসিক হল
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:৫৩
নানা সমস্যায় জর্জরিত জাবির নবনির্মিত আবাসিক হল
জাবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নবনির্মিত ছাত্রীদের ১৮ নং হলের শিক্ষার্থীরা ভুগছেন নানামুখী বিড়ম্বনায়।


সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় করিডর, সিঁড়ি, টয়লেট, গোসলখানা এবং ওজু করার জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে সেন্সর লাইট। টয়লেট, গোসলখানা এবং ওজু করার জায়গায় গুলোয় স্থির থাকা হলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে লাইট। ফলে অন্ধকারেই এগুলো ব্যবহার করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। রাতে টয়লেট ব্যবহার করা যেন চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের জন্য।


পর্যন্ত পরিমাণে পরিচ্ছন্ন কর্মী না থাকায় ছাত্রীদের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকতে হচ্ছে। নেই কোন ময়লা ফেলার বিন। হলে নেই ডাইনিং বা ক্যান্টিন। গ্যাসের সংযোগ নেই। রান্না ঘরের বিদ্যুতের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের ফাইনাল পরীক্ষা চলাকালীনও খাবারের জন্য ছুটতে হচ্ছে অন্য হলে বা বট তলায়।


এছাড়াও রুমে নেই মশারি টানানোর ব্যবস্থা। মশার কামড়েই রাত পার করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। প্রত্যেকটি রুমে দেওয়া হয়েছে বড় করে একটি স্বচ্ছ থাই এর জানালা। জানালায় নেই পর্দা দেওয়ার ব্যবস্থা। ফলে ছাত্রীদের অভ্যন্তরীণ গোপনীয়তা রক্ষায় ব্যাঘাত ঘটছে।


সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যায়ন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ফারিহা (ছদ্মনাম) বলেন, "করিডোর এর সাথের রুমের ছোট গ্লাস গুলা ঘোলা করে দেওয়া হয়েছে যেন ভিতরে দেখা না যায়। কিন্তু রুমের বড় গ্লাস গুলা স্বচ্ছ। পাশের দুইটি হলেই মিস্ত্রিরা কাজ করে। রুমের প্রাইভেসি নষ্ট হয় এতে।"


আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রুকাইয়া (ছদ্মনাম) বলেন, "আমাদের ব্লকটি মোটামুটি অন্ধকার থাকে। দিনেও পর্যাপ্ত আলোর প্রয়োজন হয়। সেন্সর লাইট থাকার কারণে ঠিক মতো সকালেও ওয়াশরুম ব্যবহার করা যায় না। গোসল করার সময়েও লাইট বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও রাতে ওয়াশরুমে যেতে খুব ভয় লাগে।"


১৮ নং হলের প্রাধ্যাক্ষ অফিস থেকে জানা যায়, হলের জন্য যখন সেন্সর লাইট কেনা হয় তখন তারা বুঝতে পারেননি যে কমোডে বসলে লাইট বন্ধ হয়ে যাবে। এই সমস্যার কোন বিকল্প ব্যবস্থা আছে কিনা জানতে চাইলে এর উত্তর পাওয়া যায়নি। ছাত্রীদের জানালায় পর্দাকে কেন্দ্র করে সমস্যার কথা বলা হলে জানানো হয় পাশেরটিও ছাত্রীদের হল, পর্দার তো কোন প্রয়োজন নেই। তবে মেয়েরা চাইলে নিজেরা পর্দা লাগানোর ব্যবস্থা করে নিতে পারে।


উল্লেখ্য, ২৮ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে উদ্বোধনের আগেই খুলে দেওয়া হয় ছাত্রীদের জন্য নির্মানিত ১৮ নং হল।


বিবার্তা/আয়েশা সিদ্দিকা/বিএম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com