শিরোনাম
কানাডাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের জাতীয় শোক দিবস পালিত
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০১৯, ১০:৫৭
কানাডাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের জাতীয় শোক দিবস পালিত
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল এবং শোক সভার আয়োজন করেছে কানাডাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন। ১৫ আগস্ট এ শোক সভার আয়োজন করে দূতাবাস।


১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে সকাল ১০টায় বাংলাদেশ হাউসে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মিজানুর রহমান জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। এরপর ১৯৭৫ সালের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৫ আগস্ট রাতে নিহত তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য এক মিনিটি নিরবতা পালন করেন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।



বিকেল ৫.৩০ মিনিটের দিকে হাই কমিশন চত্বরে অবস্থিত মিলনায়তনে পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরে মান্যবর হাই কমিশনার এবং কর্মকর্তা/কর্মচারীসহ বঙ্গবন্ধুর প্রকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। শোক দিবসে মহামান্য রাষট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন হাই কমিশনের মিনিষ্টার মিয়া মো. মাইনুল কবির এবং মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন কাউন্সিলে (বাণিজ্যিক) মো. শাকিল মাহামুদ।


হাইকমিশনের প্রথম সচিব অপর্ণা রাণী পাল-এর সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, টরেন্টোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল, কানাডার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


জাতির পিতার জীবন, আদর্শ ও অবদানের উপর বাংলাদেশের তথ্য অধিদপ্তর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।


বক্তারা জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তাঁর অসামান্য অবদান ও বর্ণাঢ্য কর্মকাণ্ড এবং নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন দিক এবং এর পিছনে তৎপর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের প্রতি আলোকপাত করেন।



বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা একটি ধর্মনিরপেক্ষ, অসম্প্রদায়িক ও স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রে মূল চেতনাকে ধ্বংস করা এবং বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করার চেষ্টা হিসাবে বর্ণনা করা হয়। বক্তারা জাতির পিতার হত্যাকারীদের যে কজন বর্তমানে প্রবাসে লুকিয়ে রয়েছেন, তাদের শাস্তি কার্যকর করার আহ্বান জানান এবং সে বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।


সভাপতির বক্তব্যে হাইকমিশনার ১৫ আগস্ট জাতির পিতা এবং তার পরিবারের শাহাদাৎ বরণকারী সকলের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে রোধ করার যে অপচেষ্টা করা হয়েছিল তা তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যর্থতায় পর্যবসিত করেছেন।


তিনি জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন সফলতার বর্ণনা করেন। কানাডায় অবস্থানরত জাতির পিতার হত্যাকারী নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিয়ে শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকার ও হাইকমিশনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। এ বিষয়ে তিনি কানাডা প্রবাসী সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন।


প্রধানমন্ত্রীর গত ২০১৮ সালের জুন মাসে কানাডা সফরকালে খুনি নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনে কানাডা প্রবাসীদের প্রতি শক্তিশালী জনমত গঠনের আহ্বানের কথা উল্লেখ করেন হাইকমিশনার। সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে ‘Movement for Deportation of Killer Nur Chowdhury’ শীর্ষক জনমত গঠনের গণস্বাক্ষরের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। হাইকমিশনার এই শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশ নির্মাণে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান।


আলোচনা শেষে ১৫ আগস্ট শাহাদাৎবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর নিকটজনের রুহের মাগফেরাত এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।


বিবার্তা/বিদ্যুত/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com