৩০ জুন শেষ হয়ে যাওয়া মালয়েশিয়ায় অবৈধ বাংলাদেশী অভিবাসীদের বৈধকরণে রিহায়ারিং প্রকল্পে ২৭০ জন বাংলাদেশী কর্মীর প্রতারিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে৷
জানা গেছে, ২৭০জন বাংলাদেশী গ্রয়িং গ্লোবাল নামক একটি কোম্পানির মাধ্যমে বৈধ হওয়ার জন্য এজেন্টকে তারা পাসপোর্টসহ ১.৮ মিলিয়ন মালয়েশিয়ান অর্থ দিয়েছিলো। রবিবার (১২ আগস্ট) প্রতারিত বাংলাদেশীরা এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এ কথা জানান৷
প্রতারণার প্রতারণার শিকার বাংলাদেশী ইমরান হক উজ্জল জানান, তিনিসহ প্রত্যেক ব্যক্তি ৭২০০ থেকে ৮০০০ রিঙ্গিত যা বাংলাদেশী টাকায় দেড় লক্ষ থেকে এক লক্ষ ষাট হাজার টাকা পরিমাণের ও যথাযথ নথি এবং পাসপোর্ট দিয়েছিল ওই কোম্পানির এজেন্টদের হাতে৷ এই পরিমাণ অর্থ প্রদান করেও বিনিময়ে তারা কিছুই পায়নি৷
দেশটির স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম দ্যা স্টারের খবর থেকে জানা যায়, প্রতারিত হয়ে এখন দেশে ফিরে যাওয়া ছাড়া তাদের আর কোনো বিকল্প পথ নেই।
উজ্জল নামে এক বাংলাদেশী বলেন, আমরা অফিসে গিয়ে বহুবার আমাদের আবেদনপত্রের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। কিন্তু তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়েছে৷ তার সাথে থাকা আরেক বাংলাদেশী আলমগীর জানান, তারা ইমিগ্রেশনে ফিংগারপিন্ট দেয়ার জন্য শেষ দিনেও অপেক্ষা করেছেন৷ তিনি বলেন, কোনো অগ্রগতি ছাড়াই নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হয়ে গেলো, আমাদের আশাও ডুবে গেলো৷
তাদের মালিক ২৭ জুন থেকেও তাদেরকে আশ্বস্ত করে যে তারা ভিসা পাবে৷
প্রতারিত হওয়া এসব বাংলাদেশীরা দেশটির ক্লাং বেল্লি ও অন্যান্য রাজ্যে নির্মাণ সেক্টরে কাজ করে৷ তারা দাবি করে যে, পুলিশ ও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি বাংলাদেশ হাইকমিশনেও এ বিষয়ে রিপোর্ট করা হয়েছে৷
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হওয়া প্রতারণার শিকার বাংলাদেশিরা বলেন, আমরা ন্যায়বিচার চাই৷ আমরা আশা করি মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ আমাদের ভিসা পেতে সহায়তা করবে৷ যদি তা না হয়, তাহলে আমরা আমাদের পাসপোর্ট চাই, যাতে দেশে ফিরে যেতে পারি৷
এদিকে, মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তান শ্রি মহিউদ্দিন ইয়াসিন বলেছেন, বৈধকরণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ, উত্পাদন, বাগান ও কৃষি এবং সেবাখাতে যাদের ভিসা হয়েছে, তাদেরকেই কাজ করার অনুমতি দেয়া হবে৷
বিবার্তা/আরিফ/কাফী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]