শিরোনাম
বাংলাদেশে পরিবহন নৈরাজ্যের প্রতিবাদে নিউইয়র্কে সমাবেশ
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০১৮, ১২:৩৯
বাংলাদেশে পরিবহন নৈরাজ্যের প্রতিবাদে নিউইয়র্কে সমাবেশ
যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশে সড়কে বাসচাপায় হত্যায় জড়িত চালকদের দ্রুত বিচার করে ফাঁসি দেয়ার দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সমাবেশ করেছেন প্রবাসীরা। স্থানীয় জ্যাকসন হাইটসে 'সচেতন নাগরিক সমাজ' ব্যানারে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।


এ সময় নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগ দাবি করেন সমাবেশের সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ। তিনি বলেন, পরিবহন ব্যবস্থার প্রতিটি ক্ষেত্রে যে অরাজকতা এবং দুর্নীতি চলছে। এসব সরকারকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। বেপরোয়া গাড়ি চালানো বন্ধ করতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া কেউ যেন গাড়ি চালাতে না পারে এবং ফিটনেস ছাড়া যেন কোনো গাড়ি রাস্তায় না নামতে পারে সে ব্যাপারে সরকারকে কঠোর ব্যাবস্থা নিতে হবে।


সাংবাদিক ও নাট্যকার তোফাজ্জল লিটনের পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন মুজাহিদ আনসারি, সৈয়দ জাকির আহমেদ রনি, মিথুন আহমেদ এবং গোপাল স্যান্ন্যাল।


কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট মুজাহিদ আনসারি বলেন, জনগণের করের টাকায় বেতনভুক্ত পুলিশ বাহিনী কোনো সময় এই সরকারের পক্ষে থাকবে পারবে না। তারা যে সরকার আসবে সেই সরকারের কাজ করবে। তাই বর্তমান সরকারকে ভাবতে হবে সেই পুলিশকে দিয়ে এই সকল কোমলমতি শিশু-কিশোরদের রক্তাক্ত করা ঠিক হচ্ছে কি-না? এ সকল প্রতিবাদী সন্তানরা শহীদ সালাম বরকত এবং জব্বারের উত্তরসূরী। তারা প্রতিবাদ করতে শিখেছে বঙ্গবন্ধু'র কাছ থেকে। তাদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত না করে এ সব হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার করতে হবে।


বাংলাদেশে গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক সৈয়দ জাকির আহমেদ রনি বলেন, সড়কে বাসগুলো ব্যাপক প্রতিযোগিতার কারণেই এসব হত্যার হার বেড়ে চলছে। সড়ক ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে গেছে। এর কারণ তারা মুনাফার লোভে কোনো আইন-কানুনের তোয়াক্কা করছে না। আবার যে সব দুর্ঘটনা ঘটছে তার বিচার হচ্ছে না। তার সুষ্ঠু বিচার না হওয়ার অন্যতম কারণ পরিবহন শ্রমিকদের নেতা নৌ মন্ত্রী শাজাহান খান সব সময় তাদের পক্ষ অবলম্বন করে কথা বলেন এবং সারা দেশে গাড়ি বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেন। সরকারের কাছে আহবান থাকবে- এই লোকটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।


সম্মিলিত সংস্কৃতি জোট উত্তর আমেরিকার আহবায়ক মিথুন আহমেদ বলেন, যে সব হত্যাকাণ্ড হয়েছে সরকার একটি ট্রান্সকম গঠন করে তার বিচার করতে হবে। বিচার চাইতে না দেয়ার বিষয়টি খুবই অমানবিক। আমাদের সব বিষয়ের শেষ আশ্রয়স্থল প্রধানমন্ত্রী। আমরা আশা করবো শেখ হাসিনা এই বিষয়ে একটি ব্যাবস্থা নিবেন।


গোপাল স্যান্নাল বলেন, দেশেল প্রতিটি ঘরে যখন একজন করে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাবেন তখন কি সরকারের টনক নড়বে? সরকার কোনো আন্দোলন হলেই তাকে দেশবিরোধী, রাজাকার এবং অন্য অনেক কিছু বলে কোণঠাসা করার অপপ্রসায় চালায়। এসব কোমলমতি সন্তানদের যেন কোনো অপবাদ দেয়া না হয়।


বিবার্তা/খোকন/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com