শিরোনাম
ভূমিদস্যুর কবলে মুক্তিযোদ্ধার জমি
প্রকাশ : ১৩ জানুয়ারি ২০১৮, ১৮:২১
ভূমিদস্যুর কবলে মুক্তিযোদ্ধার জমি
শেখ আরিফুজ্জামান, মালয়েশিয়া
প্রিন্ট অ-অ+

ভূমি দস্যুদের দখলবাজিতে নাকাল হয়ে পড়েছে এক মুক্তিযোদ্ধার পরিবার। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই মুক্তিযোদ্ধার একমাত্র সন্তান মালয়েশিয়া আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য নিরব হোসেন।


ভূমিদস্যুর কবল থেকে নিজস্ব সম্পত্তি রক্ষার দাবিতে শুক্রবার কুয়ালালামপুরের একটি রেস্তোরাঁয় তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন।


এ সময় তিনি বলেন, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার বাইপাল নতুন পাড়ার বাইপাল মৌজার এস.এ নং-৮৮, ৮৯, আরএস নং-১৪৬, ৪০১ দাগের ২২.৫০ শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে মালিক আমার পিতা শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার মনুয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা (আইডি নং-০৩১৫০৪০২০৪) হাজী আব্দুল আজিজ। যেখানে শরীফ ভিলা নামের বাড়ি নির্মাণ করে দীর্ঘদিন ভোগ দখলে ছিলাম আমরা।


তিনি বলেন, বাইপাল থানার মৃত লাল মিয়ার ছেলে ওমর আলী অবৈধভাবে জবর দখল করে ভাড়াটিয়াদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে অন্যায়ভাবে তাদের কাছ থেকে ভাড়া উত্তোলনসহ ওই জমি নিজেদের বলে দাবি করে। যার ফলে ২০১৫ সালের ২৬ মার্চ আশুলিয়া থানায় একটি জিডি করা হয়। যার জিডি নম্বর-১৮৩০।


এদিকে, থানায় জিডি করার পর ভূমিদস্যু ওমর আলী যুগ্ম জেলা জজ-২ আদালত ঢাকা দেয়ানি মোকদ্দমা নং-১৫৯/২০১৫ মামলা দায়ের করে। এক পর্যায়ে আদালত সকল তথ্য, কাগজপত্র যাছাই-বাছাইয়ের পর ওই মামলা খারিজ করে দেন।


মামলার রায় মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজের পক্ষে থাকার পর ওমর আলী গং কিছু দিন নিশ্চুপ থাকলেও আবারো তারা অবৈধভাবে জবর দখলের পাঁয়তারা করছে। এমনকি গতবছর আগস্ট মাসের ২২ তারিখ সকালে ওমর আলীর ছেলে জনি, একই এলাকার মৃত সমির উদ্দিনের দুই ছেলে জামাল উদ্দিন ও কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে শরীফ ভিলার নামফলক ভাংচুর করে ত্রাস সৃষ্টি করে। এ সময় আশুলিয়া থানায় অভিযোগ করা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।


জানা গেছে, ২০১৬ সালে ৫ আগস্ট ওমর আলী গংয়ের দখলে থাকা অবৈধ জমি সওজের কর্মকর্তারা উদ্ধার করতে গেলে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় সওজ কর্মকর্তা ও ৪ সাংবাদিক গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। যা দৈনিক সকালের খবরসহ একাধিক পত্রিকায় প্রকাশের পরও বহাল তবিয়াতে থাকে তারা।


সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, প্রতিনিয়ত ওমর আলী গং ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের নানারকম হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। এমতাবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা হাজী আব্দুল আজিজের পরিবারের সদস্যরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এমনকি নীরব হোসেন তাদের একমাত্র ছেলে হওয়ার কারণে বৃদ্ধ বাবা-মা চাননা তিনি এই মুহূর্তে দেশে যান।


সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় শ্রমিক লীগ মালয়েশিয়া শাখার সহ-সভাপতি শাহ আলম হাওলাদার বলেন, মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের গ্যান্টিং হাইল্যান্ডে নীরব হোসেনের নিজস্ব সালাদ ফার্ম আছে। তিনি ইতোমধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে আইকন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা ও তার সম্পদের নিরাপত্তাসহ আমরা বাংলাদেশী প্রবাসী রেমিটেন্সযোদ্ধা হিসেবে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের সহযোগিতা কামনা করছি।


বিবার্তা/আরিফ/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com