শিরোনাম
লিবিয়ায় বাংলাদেশীদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২৩:০৭
লিবিয়ায় বাংলাদেশীদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়
লিবিয়ায় আটকেপড়া কয়েকজন বাংলাদেশী (ফাইল ছবি)
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

লিবিয়াতে কাজে যাওয়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের সেখান জিম্মি করে বাংলাদেশে পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন।


অপহৃত শ্রমিকদের ইতালিতে বেশি বেতনে কাজের প্রলোভন দেখানো হয়েছিলো। লিবিয়াতে এমন আরো অনেকে অপহৃত আছেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।


নওগাঁ জেলার রানীনগর থানার আইয়ুব হোসেন তাদের একজন। পাঁচ বছর আগে লিবিয়াতে কাজে গিয়েছিলেন। সেখানে আইয়ুব একটি তেলের পাম্পে কাজ করতেন। তার বাবা মোহাম্মদ তসলিম উদ্দিন বলছিলেন আড়াই মাস আগে হঠাৎ একটি ফোন পেলেন।


তিনি বলছেন, ফোন করে বলা হল দুই লাখ পঞ্চান্ন হাজার টাকা এখনি দিতে হবে তা না হলে ছেলেকে মেরে সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হবে। ফোন পাওয়ার পর আমরা মুষঢ়ে পড়ি। কীভাবে এত টাকা দেবো। ছেলেকে মারার দৃশ্য দেখায়। আমরা মা বাবা তাতে তো আর থাকতে পারি না।


ভিডিওতে ছেলের মার খাওয়ার দৃশ্য দেখে মুক্তিপণের টাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানালেন তসলিম উদ্দিন। দু দফায় বিকাশের মাধ্যমে তিনি পাঁচ লাখ টাকার মতো দিয়েছেন।


তিনি বলছেন, জমিজমা বিক্রি করে এই অর্থ দিয়েছেন, কিন্তু এরপরও ফোন পেয়েছেন তিনি। এত টাকা দেয়ার পরও ছেলের মুক্তি না হলে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন তিনি।


একই বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের কাছে আরো অভিযোগ ছিলো।


অভিযোগকারীদের দেওয়া তথ্য এবং যেসব বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা হস্তান্তর হয়েছে তার বিস্তারিত তথ্যের ভিত্তিতেই পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে।


পিবিআই ঢাকা মেট্রোর বিশেষ পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, ইতালিতে গেলে বেশি বেতনে কাজ দেয়া হবে সেরকম প্রলোভন দেখিয়ে ঐ শ্রমিকদের অপহরণ করা হয়।


তিনি জানিয়েছেন, ঐ শ্রমিকদের ত্রিপোলি থেকে নয়শো কিলোমিটার দূরে কোথাও রাখা হয়েছে তারা জানতে পারছেন। আজাদ বলেন, আত্মীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশে অপহরণকারীদের হয়ে মুক্তিপণ আদায় করছিলেন।


আর গ্রেফতারকৃত অন্যদের মধ্যে রয়েছে তিনজন বিকাশের এজেন্ট, যাদের মাধ্যমে মুক্তিপণের টাকা লেনদেন করা হচ্ছিলো। তাদেরও এই ঘটনায় সম্পৃক্ততার রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। আজাদ বলছেন লিবিয়াতে এরকম আরো একশো বিশ জনের মতো একইভাবে অপহৃত হয়ে জিম্মি আছেন বলে তারা জানতে পারছেন।


তিনি বলেছেন এখন লিবিয়াতে জিম্মিদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তাতে কত সময় লাগবে সেটি নিশ্চিত নয়। সূত্র : বিবিসি


বিবার্তা/কাফী

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com