বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি; তারপরেও মানুষের মিলন মেলা। একজন নয়, দু’জন নয়, চার- চার জন ভারতীয় শিল্পীর গান বলে কথা। হোক না বৃষ্টি কিংবা তুষার ঝড়, তাতে কি? প্রাকৃতিক দুর্যোগ তো থাকবেই তাই বলে কি এমন সঙ্গীত সন্ধ্যা মিস করা যায়! তাই তো প্রচণ্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী উপস্থিত হয়েছিলেন মন্ট্রিলের লোকোজো আয়োজিত সঙ্গীতমূখর সন্ধ্যায়। 

শনিবার মন্ট্রিলের সেন্ট হেনরি স্কুলের বিশাল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রত্যাশিত ঈদ ও শারদীয় পুনর্মিলনী সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। দু’দিন ধরে বিরামহীন বৃষ্টিতে অনুষ্ঠানের কিছুটা ছন্দপতন ঘটলেও বিপুল সংখ্যক প্রবাসী কিছুটা শৈত্য প্রবাহ আর কাকভেজা হয়ে অনুষ্ঠান দেখতে আসেন।

অনুষ্ঠান জমে ওঠে করতালি আর আনন্দ চিৎকারে। বৃষ্টির কারণে অনুষ্ঠানটি নির্ধারিত সময়ের কিছুটা বিলম্বে শুরু হওয়ায় শেষ হতে মধ্যরাত পেরিয়ে যায়।

লোকোজো মন্ট্রিলের শিল্পীদের সঙ্গীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। শিশু নৃত্যশিল্পীদের পরিবেশনার পরই সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজকদের অন্যতম, ব্যবসায়ী অনুপ কুমার চৌধুরী। এরপরই ভারতের খ্যাতিমান বাংলা বক্স শিল্পী ঋদ্ধি বন্দ্যোপধ্যায় গীতিকার প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের বিখ্যাত গান ‘আমি আমার আমিকে চিরদিন এই বাংলায় খুঁজে পাই’ পরিবেশন করেন। দেশাত্ববোধক গান দিয়ে শুরু করেন অতিথি শিল্পীদের গানের অনুষ্ঠান।  

অন্যান্য শিল্পীদের গানের আগে মন্ট্রিলের নৃত্যশিল্পীদের তত্ত্বাবধানে রঙ্গিলা গ্রুপ ও পুর্ণা তালমিলা’র দল নৃত্য পরিবেশন করে। ভারতের জি বাংলার টিভি রিয়েলিটি শো সারেগামাপা’র একাধিক কণ্ঠশিল্পী দিপায়ন ব্যানার্জী ও সুস্মিতা চক্রবর্তী ও স্টার টিভি ভারত কি শান তথাগত সেনগুপ্ত ধারাবাহিকভাবে বাংলা ও হিন্দি গান পরিবেশন করে উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন।

পুরো অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মন্ট্রিলের সুপরিচিত উপস্থাপক শর্মিলা ধর ও শক্তিব্রত হালদার মানু।

বিবার্তা/সদেরা/নিশি