শিরোনাম
দেশে ফিরে প্রবাসী নারীর ধর্ষণ মামলা
প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২১, ০৮:২৭
দেশে ফিরে প্রবাসী নারীর ধর্ষণ মামলা
প্রবাস ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

মরিশাস থেকে দেশে ফিরে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মানবপাচার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের দুটি ধারায় মামলা করেছেন এক নারী। শনিবার বিকেলে রাজধানীর রামপুরা থানায় দায়ের করা মামলায় একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।


মামলায় প্রধান আসামি করা হয় আকবর হোসেনকে। তিনি মেসার্স গোলাম রাব্বি ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি জনশক্তি রপ্তানি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা।


বাকি আসামিরা হলেন গোলাম রাব্বি, আক্তার হোসেন, শাহ আলম, ফোরকান, সিদ্দিক, আসলাম, ভারতীয় নাগরিক অনিল কোহলি এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জন।


এর আগে তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে সাহায্য চেয়েছিলেন। তাকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে মন্ত্রণালয়।


রামপুরা থানার ওসি আব্দুল কুদ্দুস ফকির মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০২০ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ‘গোলাম রাব্বি ইন্টারন্যাশনাল’ এর মাধ্যমে মরিশাসে যান ওই নারী। সেখানে ‘ফায়ার মাউন্ট টেক্সটাইল কোম্পানিতে’ হেলপার হিসাবে কাজ শুরু করেন তিনি। কোম্পানির ক্যান্টিন পরিচালনায় থাকা শাহ আলম ও তার সহযোগী ফুরকান, সিদ্দিক ও আসলাম ওই নারীকে একদিন বলেন, কোম্পানির মালিক তোমাকে পছন্দ করে। তুমি যদি তার সাথে থাকতে পার তাহলে অনেক ভালো হবে।


ওই নারীর অভিযোগ, এমন প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শাহ আলম বিভিন্ন সময় ওই নারীকে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়। তার ভাষ্য- একদিন শাহ আলম বলেন, কোম্পানির মালিক তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তাই তোমাকে মালিকের কাছে যেতে হবে। এই বলে তাকে মালিক অনিল কোহলির বাসায় নিয়ে যায়।


এজাহারে অভিযোগ করা হয়, সেখানে ওই নারীকে মালিকের রুমে রেখে শাহ আলম বাইরে চলে যায়। সেইদিনই ফায়ার মাউন্ট টেক্সটাইলের মালিক অনিল কোহলি তাকে ধর্ষণ করেন।


মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করা আছে এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিখিয়ে শাহ আলম ও কোম্পানির মালিক অনিল কোহলি তাকে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করতেন। মালিকের বন্ধুর সাথেও রাত কাটানোর প্রস্তাব দেয় শাহ আলম। রাজি না হলে আবারও তাকে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে তিনি অন্তঃসত্বা হয়ে পড়লে মরিশাসের একটি হাসপাতালে গর্ভপাত করানো হয়।


ওই নারী জানান, এসব নিয়ে মানসিক যন্ত্রণায় দেশে ফেরার তিন দিনের মাথায় তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিষয়টি তার বোনের নজরে এলে ঠেকিয়ে দেন। এরপর বড় বোনকে তিনি বিস্তারিত জানিয়েছেন। পরে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ব্র্যাকের পক্ষ থেকে তাকে চিকিৎসাসহ কাউন্সেলিং সহায়তা দেওয়া হয়।


বিবার্তা/এনকে

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com