শিরোনাম
সংবাদ প্রকাশ না করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা!
প্রকাশ : ২২ মে ২০১৭, ১৬:৫৪
সংবাদ প্রকাশ না করায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা!
জিন্নাতুল ইসলাম জিন্না, লালমনিরহাট
প্রিন্ট অ-অ+

এবার সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে লালমনিরহাটের আদিতমারী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।


আদিতমারী প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মানবজমিন প্রতিনিধি গোলাপ মিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।মামলাটি দায়ের করেন নারী উন্নয়ন প্রকল্পের প্রশিক্ষক ও উপজেলার পলাশী ইউনিয়নের দেওডোবা গ্রামের গনেশ চন্দ্র বর্মনের মেয়ে শ্যামলী রানী।


জানা গেছে, গত বছরের ৭ ডিসেম্বর উপজেলার ফায়ার সার্ভিস অফিস সংলগ্ন জনৈক নুর মোহাম্মদ এর বাসা ভাড়া নিয়ে অপরিচিত ৬ যুবক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার ব্যানারে “নারী উন্নয়ন প্রকল্প” নামে একটি অফিস করে। তারা ৫ প্রকার হস্তশিল্পের কাজ শেখানোর কথা বলে এলাকার ৩৫ জন শিক্ষিত বেকার নারীকে তাদের কার্যক্রমের প্রশিক্ষক হিসেবে মাসিক ৮ হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ দেন। প্রতিজন প্রশিক্ষকরা স্ব-উদ্যোগে ১৫টি করে দল গঠন করেন। প্রতিটি দলে কমপক্ষে ৩০ জন করে সদস্য ভর্তি করা হয়। প্রত্যেক সদস্যদের ভর্তির জন্য এক হাজার ৪শ ৩০ টাকা করে আদায় করে তারা সংগঠনটির কর্মকর্তাদের নিকট জমা করেন।


এদিকে ৫ মাস অতিবাহিত হলেও সদস্যদের প্রশিক্ষণ না দিয়ে হঠাৎ করে ১০ মে প্রায় আড়াই কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয় সর্বস্ব ওই সংগঠনটি।


এ ঘটনার পর ওই সংগঠনের প্রশিক্ষক আদুরী বেগম বাদি হয়ে ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ তার অভিযোগটি আমলে না নিয়ে গত ১৪মে অপর এক প্রশিক্ষক সুমনা রানীকে বাদি করে মামলা গ্রহণ করেন। আর এ মামলায় সাংবাদিক গোলাপকে সাত নম্বর আসামি করা হয়।


ওই প্রকল্পের প্রশিক্ষক মামলাটির স্বাক্ষী সবুজা বেগম জানান, তিনি একদিন সাংবাদিককে ওই অফিসে ছবি তুলে তথ্য নিতে দেখেছেন। কিন্তু এমন ভুয়া সংগঠনের তথ্য জেনেও সংবাদ প্রকাশ না করাটা সাংবাদিকের জন্য অপরাধ। তাই তাকে এ মামলায় সাত নম্বর আসামি করা হয়েছে।


মামলার আরেক স্বাক্ষী পারভীন সুলতানা জানান, সংগঠনটির কর্মকর্তাদের সাথে সাংবাদিকের সক্ষতা ছিল। তাই মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে।


মামলার বাদি সুমনা রানী বলেন, সাংবাদিককে আমি চিনি না জানিও না। ওই মামলার কাগজে আমাকে স্বাক্ষর দিতে বলা হলে স্বাক্ষর করেছি মাত্র।


এর বাইরে কোনো কথা বলতে রাজি হননি তিনি।


মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তদন্ত ফিরোজ কবির বলেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী মামলা বিষয়ে যা বলার অফিসার ইনচার্জই বলবেন।


আদিতমারী থানার ওসি হরেশ্বর রায় জানান, মূল আসামিদের বিরুদ্ধে বাদী কাগজ কলমে কোনো গুরুত্বর্পূর্ণ তথ্য দেখাতে পারেননি। এছাড়াও সাংবাদিক গোলাপের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে কোনো তথ্য-প্রমাণ দাঁড় করাতে পারেনি তারা। বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।


বিবার্তা/জিন্না/আকবর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com