লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে নাজমুল হুদা (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলাটি তুলে নিতে বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নাজমুলের চাচা কামরুজ্জামান ও তার বন্ধু মেমোনের বিরুদ্ধে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে অসহায় পরিবারটি।
অভিযুক্ত কামরুজ্জামান উপজেলার প্রান্নাথ পাটিকাপাড়া এলাকার ফয়জার মোক্তারের ছেলে। সে গ্রেপ্তারকৃত নাজমুল হুদার চাচা। আর মেমোন পাটিকাপাড়া কারবালা দিঘী এলাকার মধুর পুত্র। সে কামরুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
জানা গেছে, বিয়ের কথা বলে ওই শিক্ষার্থীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে নাজমুল। এরই মাঝে শারিরীক সম্পর্ক করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় সে। এক পর্যায়ে গত ১৮ জুলাই রাত সাড়ে ১২টা নাগাত নাজমুল ওই শিক্ষার্থীকে তার বাড়ির পাশের বাঁশ ঝাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এ সময় ওই শিক্ষার্থীর আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে নাজমুলকে আটক করে। খবর পেয়ে কামরুজ্জামান ও মেমোন ওই যুবককে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে এলাকাবাসী নাজমুলকে ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল আলম সাদাতের কাছে নিয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যান ওই যুবককে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন।
সোমবার (১৯ জুলাই) দুপুরে নাজমুলকে ধর্ষণ মামলায় জেলে পাঠায় আদালত। এরপর থেকে মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে কামরুজ্জামান ও মেমোন। এ বিষয়ে মামলার বাদী বলেন, গ্রেফতার নাজমুলের চাচা ও তার বন্ধু বিষয়টি মিমাংসার জন্য আমাকে চাপ প্রয়োগ করছে। এছাড়া মামলা তুলে নিতে নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। আমরা খুব ভয়ে আছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাজমুলের চাচা বলে, আমরা কোনো হুমকি দেই নি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মেমোন বলে, আমি কামরুজ্জামানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ঠিকই কিন্তু তাদেরকে কোনো হুমকি দেয়া হয় নি।
হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে নাজমুলকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। বাদীকে হুমকি দেয়ার বিষয়টি জানা নেই। জানালে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিবার্তা/তমাল/অনামিকা/বিআর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]