শিরোনাম
ছেলের চেয়ে মায়ের রেজাল্টই ভালো!
প্রকাশ : ০৭ মে ২০১৮, ১৬:২১
ছেলের চেয়ে মায়ের রেজাল্টই ভালো!
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

মা আর ছেলে একসঙ্গে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। গৃহিনী মা ঘরের কাজের পাশাপাশি ছেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পড়াশোনাও করেছিলেন। ফলও মিললো তার। ছেলের চেয়ে মায়ের ফলাফলই ভালো হলো।


নাটোরের গুরুদাসপুরে তাওহীদুল ইসলাম (১৬) ও তার মা তাহমিনা বিনতে হক (৩৫) এবার এমনই কাণ্ড ঘটিয়ে দিলেন। এসএসসি পরীক্ষায় মা পেয়েছেন জিপিএ ৪ দশমিক ২৩ পেয়েছেন, আর ছেলে পেয়েছেন জিপিএ ৪ দশমিক ৬।


এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্বামী নিয়ে তাহমিনার সংসার। তিনটি গরু, হাঁস ও মুরগি প্রতিপালন করেন তিনি। তার একটি গাভী প্রতিদিন প্রায় আট লিটার দুধ দেয়। গরুর জন্য পুষ্টিকর ঘাসের চাষও করতে হয় তাহমিনাকে। এছাড়া ৬০টি লিচু গাছ ও ১২০টি আমগাছের বাগান দেখাশোনা করা তার নিত্যনৈমিত্তিক কাজ।


এরই ফাঁকে ছেলের লেখাপড়ার সময় দিতে হতো তাকে। আর তা করতে গিয়েই নিজেও স্কুলে ভর্তি হন তিনি। মা-ছেলে প্রতিদিন গড়ে ৪ ঘণ্টা পড়াশুনা করতেন।


উপজেলার আনন্দনগর গ্রামে তাদের বাড়ি। তাহমিনার স্বামী আলমগীর হোসেন রঞ্জু চাঁচকৈড় বাজারের একজন ওষুধ ব্যবসায়ী। এত ব্যস্ততার মাঝেও সংসারের যাবতীয় ঝামেলা মিটিয়ে স্ত্রীর এই কৃতকার্যে তিনি খুব খুশি। আনন্দনগর গ্রামের ওই পরিবারে এখন আনন্দের ছড়াছড়ি। অনেকেই রঞ্জুর স্ত্রী-সন্তানকে দেখার জন্য তাদের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।



তাহমিনার বাবার বাড়ি পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর গ্রামে। সেখানকার জোনাইল আইটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষা দেন তাহমিনা। আর তার ছেলে তাওহীদ জোনাইল এলাকার দ্বারিকুশি প্রতাপপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষা দেয়।


মা তাহমিনার প্রত্যাশা, তার ছেলে আগামী এইচএসসি পরীক্ষাতে আরও ভালো রেজাল্ট করবে।


বিবার্তা/আখলাকুজ্জামান/কামরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com