শিরোনাম
রাজশাহী বোর্ডের ১১ কলেজে শতভাগ ফেল
প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০১৭, ১৯:০৭
রাজশাহী বোর্ডের ১১ কলেজে শতভাগ ফেল
রাজশাহী ব্যুরো
প্রিন্ট অ-অ+

রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ১১টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থী পাস করেনি। অবশ্য এই ১১ কলেজের মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ২৯ জন। এর মধ্যে একজন করে পরীক্ষার্থী ছিলো চার কলেজে।


গত বছর এই বোর্ডে শতভাগ ফেল করা কলেজ ছিলো আটটি। এর আগে ২০১৫ সালে পাঁচটি, ২০১৪ সালে দু’টি এবং ২০১৩ ও ২০১২ সালে চারটি করে কলেজ ছিলো এই তালিকায়। তবে এবারই সর্বোচ্চ সংখ্যক কলেজ শতভাগ ফেলের তালিকায় নাম লিখিয়েছে।


বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর তরুণ কুমার সরকার জানান, শূন্য পাশের ওই ১১ কলেজের মধ্যে সর্বাধিক আটজন পরীক্ষার্থী ছিলো নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সাহেবগঞ্জ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে। পাঁচজন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দাবিপুর কলেজ থেকে। তিনজন করে পরীক্ষার্থী ছিলো নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু সাইন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি বিএম ইনস্টিটিউট এবং নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বড় শিমলা মহিলা কলেজের। আর দু’জন করে পরীক্ষার্থী অংশ নেয় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বড়বিহানলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, নাটোরের সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ এবং জয়পুরহাট সদরের হিসমি আদর্শ কলেজ থেকে।


এছাড়া একজন করে পরীক্ষার্থী ছিলো নাটোরের সিংড়া উপজেলার আগপাড়া শিরকলি বন্দর বিদ্যালয় ও কলেজ, নওগাঁর মান্দা উপজেলার পূর্বমান্দা আইডিয়াল কলেজ, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার গণকপাড়া বিদ্যালয় ও কলেজ এবং জয়পুরহাট সদরের ভাদশা আইডিয়াল কলেজ।


এদিকে বোর্ডে এবার কেবল শতভাগ ফেল কলেজের সংখ্যাই বাড়েনি, বেড়েছে ১০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করা কলেজের সংখ্যাও। এ বছর এমন কলেজ রয়েছে ১৩৯টি। গত বছর তা ছিলো ১৮টি। এর আগে ২০১৫ সালে ২৬টি, ২০১৪ সালে ১৫টি এবং ২০১৩ সালে নয়টি কলেজ ছিলো এ তলিকায়।


এ বছর ৫০ শতাংশ থেকে ৯৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে এমন কলেজ রয়েছে ৫৬৯টি। গত বছর এ সংখ্যা ছিলো ৬১৮টি। এর আগে ২০১৫ সালে ৬২১টি, ২০১৪ সালে ৬১৮টি এবং ২০১৩ সালে ৬০১টি কলেজ ছিলো এ তালিকায়।


তবে শতভাগ ফেল এবং ৫০ শতাংশের নিচে পরীক্ষার্থী পাশ করেছে এমন কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধিতে তাদের কোনো দায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তরুণ কুমার সরকার। তিনি বলেন, এসব কলেজ শুধুমাত্র প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে। ধারাবাহিকভাবে তারা এমন ফলাফল করলে কারণ খুঁজে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয়ই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।


বিবার্তা/রিমন/মোয়াজ্জেম

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com