আজ ২ ফেব্রুয়ারি কথাশিল্পী হাসান আজিজুল হকের জন্মদিন। ১৯৩৯ সালের এই দিনে আধুনিক বাংলাসাহিত্যের এই দিকপাল অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার যবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আজ তিনি ৭৯ বছরে পা রাখলেন।

জন্মের পর হাসান আজিজুল হকের ছেলেবেলা কেটেছে যবগ্রামেই। ১৯৫৪ সালে তিনি যবগ্রাম মহারাণী কাশিশ্বরী ইংরেজি বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। ১৯৫৬ সালে খুলনার দৌলতপুরের ব্রজলাল কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। এ সময় ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ফলে তৎকালের পাকিস্তান প্রশাসনের নির্যাতন ভোগের পর তিনি রাজশাহী কলেজে এসে ভর্তি হন।

১৯৫৮ সালে এই কলেজ থেকে দর্শনে সম্মানসহ স্নাতক ও ১৯৬০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স উত্তীর্ণ হন তিনি। এরপর বিভিন্ন কলেজে অধ্যাপনা শেষে ১৯৭৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে শিক্ষকতা শুরু করেন। ২০০৪ সাল পর্যন্ত অধ্যাপনা করে অবসর নেন তিনি।

ষাটের দশক থেকেই ছোটগল্পকার হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন হাসান আজিজুল হক। দিনে দিনে বাংলাসাহিত্যে একটি স্বতন্ত্র অবস্থান নিয়ে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছেন তিনি। হাসান আজিজুল হকের প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘সমুদ্রের স্বপ্ন শীতের অরণ্য’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৪ সালে।

তার উল্লেযোগ্য রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- আত্মজা ও একটি করবী গাছ, জীবন ঘষে আগুন, পাতালে হাসপাতালে, নামহীন গোত্রহীন, চালচিত্রের খুটিনাটি, মা মেয়ের সংসার, বিধবাদের কথা ও অন্যান্য গল্প, সক্রেটিস, বৃত্তায়ন, শিউলি, আগুনপাখি, ফিরে যাই ফিরে আসি, উঁকি দিয়ে দিগন্ত।

হাসান আজিজুল হক আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারসহ দেশের মধ্যে অজস্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৯৯ সালে একুশে পদক পান তিনি। ২০০৭ সালে আগুনপাখি উপন্যাসের জন্য তিনি কলকাতার আনন্দ পুরস্কার লাভ করেন।

তীব্র পর্যবেক্ষণ দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভাষার নিপুণতা হাসান আজিজুল হকের লেখনীর মূখ্য বিষয়। খ্যাতনামা এই কথাসাহিত্যিককে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন হাসান আজিজুল হক।

বিবার্তা/রিমন/পলাশ