‘‘মৃৎ শিল্পের পরিবার’’ শব্দটা শুনলেই হয়তো চোখে ভাসবে মাটির হাড়ি পাতিল, খেলনাপত্র, মাটির জিনিসপত্র বানানোর চাক আর সাথে এক ঝাঁক দারিদ্রতা। হ্যাঁ ঠিকই কল্পনা করেছেন। কিন্তু যখন হাজারো দারিদ্রতার মাঝে সেই মৃৎ শিল্পীর পরিবার থেকে কেউ জিপিএ-৫ পায় তখন হয়তো অনেকেই অবাক হয়ে যায়। আর ইচ্ছে, আন্তরিকতা ও নিরলস পরিশ্রম থাকলে যে কোনো কঠিন কাজেই যে সাফল্য পাওয়া যায় তারই প্রমাণ শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মৃৎ শিল্পী তপন কুমার পাল। সে মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের পাল পাড়া গ্রামের গোপাল চন্দ্র পালের ছেলে।
হাজারো বাঁধা জয় করে তপন উপজেলার মালিঝিকান্দা উচ্চ বিদ্যালয় হতে বিজ্ঞান বিভাগ হতে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। কিন্তু সে জিপিএ-৫ পেয়েও অর্থাভাবে লেখা পড়া চালিয়ে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে। তার বাবা গোপাল চন্দ্র পরিবারের তিন বেলা খাবার জোগাতেই হিমসিম খাচ্ছেন। ফলে ছেলের জন্য উচ্চ শিক্ষার খরচ জোগানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।
তপন কুমার জানায়, সে পড়ালেখার পাশাপাশি প্রতিদিন মৃৎ শিল্পের কাজ করে। সে ভবিষ্যতে প্রকৌশলী হতে চায়।
তপনের বাবা গোপাল চন্দ্র পাল বলেন, আমি আমার ছেলেকে ভালো কলেজে ভর্তি করিয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাই। তবে এতো খরচ কীভাবে আসবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। সমাজের কেউ তার ছেলের পড়ালেখার জন্য এগিয়ে আসলে উপকৃত হবো।
এ ব্যাপারে মালিঝিকান্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রত্যাশিত ফলাফল অর্জন করেছে তপন। সে অনেক মেধাবী। তবে দারিদ্রতার মাঝে সে লেখাপড়া কতটা চালিয়ে যেতে পারবে তা নি চিন্তায় আছি।
বিবার্তা/সানী/আকবর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]