যশোরের মণিরামপুর উপজেলার অর্থসংক্রান্ত বিরোধে শুক্রবার ছেলের হাতে খুন হয়েছেন বাবা তাজুল ইসলাম পাটোয়ারী বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে সন্ধ্যার পর নিহতের স্ত্রী, দুই ছেলেরস্ত্রীসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। এ ঘটনার পর থেকে ছেলে আনোয়ার নিখোঁজ রয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, তাজুল ইসলামের দুই ছেলে আনোয়ার হোসেন এবং হুমায়ুন কবীর বেশ কয়েকবছর ধরে মালয়েশিয়ায় চাকরি করতেন। ইতোমধ্যে তারা দুই ভাই মালয়েশিয়া থেকে বাবার কাছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা পাঠান। সম্প্রতি দুই ছেলে বাড়িতে এসে বাবার কাছে ওই টাকার হিসাব চান। কিন্তু তিনি সেই টাকার হিসাব দিতে পারেননি। এ নিয়ে তাদের বাবার সাথে দুই ভাইয়ের ভুল বোঝাবুঝি হয়।
গতমাসে ছোট ছেলে হুমায়ুন কবীর মালয়েশিয়া ফিরে যান। বড় ছেলে আনোয়ার বর্তমানে বাড়িতে রয়েছেন।
নিহতের ভাই প্রত্যক্ষদর্শী মাজু মিয়া জানান, শুক্রবার তাজুল এবং ছেলে আনোয়ার গ্রামের মসজিদ থেকে জুমার নামাজ আদায় করে বাড়িতে আসেন। দুপুর আড়াইটার দিকে ঘরের মধ্যে ওই টাকা নিয়ে বাবা-ছেলের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ছেলে আনোয়ার হোসেন লোহার শাবল দিয়ে ঘাড়ে এবং পিঠে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তাজুল ইসলাম নিহত হন।
তবে অপর প্রত্যক্ষদর্শী বড় ছেলে আনোয়ারের স্ত্রী মুন্নি খাতুন জানান, টাকা নিয়ে ছেলে এবং বাবার মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ট্রোক করে বাবার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে বিকেলে মণিরামপুর থানার ওসি (সার্বিক) সহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে খেদাপাড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সালাহ উদ্দিন নিহতের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, ছোটভাই মাজু মিয়া, বড় পুত্রবধূ মুন্নি খাতুন, ছোট পুত্রবধূ রেহেনা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন।
বিবার্তা/তুহিন/আকবর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]