রাজধানী যাত্রাবাড়ী কোনাপাড়ার একটি বাসায় ফারজানা আক্তার (১০ বছর) বয়সী এক মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বিষয়টি রহস্যজনক।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সাড়ে ১২টার দিকে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে।

নিহত শিশুকে ( ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা তার বাবা নুর উদ্দিন জানান, রাতে আমরা স্বামী-স্ত্রী বাসায় ছিলাম না যেহেতু আমি কাঁচামালের ব্যবসা করি ও আমার স্ত্রী একজন পোশাক শ্রমিক, গত রাতে আমার স্ত্রী বাসায় এসে দেখতে পায় দরজা বন্ধ ডাকাডাকি করে কিন্তু দরজা না খোলায় পরে দরজা ভেঙে দেখি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় আমার মেয়েকে। পরে ঝুলন্ত অবস্থায় ওকে নামিয়ে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান। আমার মেয়ে কি কারনে ফাঁসি দিয়েছ এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারিনা। আমাদের কারোর সঙ্গে কোন শত্রুতা নেই । আমার মেয়ে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত আল্লাহ পাক বলতে পারেন কিভাবে কি হয়ে গেল।

তিনি আরো বলেন , আমাদের গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার, লালমোহন থানা, বর্তমানে যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া এলাকায় সপরিবারে থাকতাম। এক ভাই এক বোন নিহত ফারজানা ছিল বড়।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোঃ বাচ্চু মিয়া বলেন, যাত্রাবাড়ীতে এক শিশু শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।

বিবার্তা/মাসুম