গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ বলেছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সরকার রাতেই ভোট করেছিল। এবার সরকার রাতে ভোট করবে না, ভোরে করবে। ভোট নিয়ে সরকার এবার নতুন ছক আঁকছে বলেও জানান তিনি।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ফেলানী হত্যা দিবসে সীমান্তে আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে আগ্রাসন প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হয়েছে। এবার আর রাতে ভোট হবে না। এবার সরকার আরেক প্রস্তুতি নিয়েছে। ভোট আর রাতে হবে না, ভোরেই সরকারের পুলিশ ও প্রশাসনের অন্যরা মিলে ৬০-৭০ ভাগ করে ফেলবে। পরে ৯টার পর ভোট শুরু হবে।’
এ সময় লক্ষাধিক স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করে তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে ভোট পাহারায় বসানোর আহ্বান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এবার এমন একজনকে রাষ্ট্রপতি বানানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, যিনি সরকারের মিষ্টিভাষী ও দীর্ঘদিন সরকারের সঙ্গে কাজ করেছেন। রাজনীতিবিদের তো বিবেক আছে। কিন্তু একজন আমলার বিবেক থাকে না। এইচ টি ইমামের জায়গায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সদ্য সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে। এভাবেই তারা এগোচ্ছে।’
ফেলানী হত্যার বিচার দাবি করে বিএনপিপন্থী এই বুদ্ধিজীবী বলেন, ‘ফেলানী হত্যায় আমাদের উচিত হবে ভারতকে চেনা। তারা আমাদের সব দুর্ভোগের কারণ। এ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের উচিত হবে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনের সড়কের নাম ফেলানীর নামে করা।’
সংগঠনের আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জালাল হায়দার, ডেইলি নিউ নেশন পত্রিকার সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান প্রমুখ।
বিবার্তা/রিয়াদ/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]