
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েছেন তিনজন। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ও বুধবারের (২৬ অক্টোবর) এ ঘটনায় ওই তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তারা হলেন- আব্দুল খালেক (৪০), অজ্ঞাত ব্যক্তি (৫০) ও রাসেল মিয়া (২৮)।
রাজধানীর চানখারপুলে অজ্ঞান পাটির খপ্পরে পড়া আব্দুল খালেক একজন রিকশাচালক। বুধবার সকাল ৯টার দিকে তাকে ঢামেকে নেয়া হয়। এসময় গ্যারেজ ম্যানেজার হান্নান মিয়া তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে গেলে স্টমাক ওয়াশ দিয়ে চিকিৎসক মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
ম্যানেজার হান্নান মিয়া বিবার্তাকে বলেন, আব্দুল খালেক খিলগাঁও তালতলা মার্কেটে আলমের গ্যারেজের রিকশা চালাতেন। প্রত্যেকদিন বেলা ২টার পর রিক্সা নিয়ে বের হয়। সারারত রিক্সা চালিয়ে সকালে গ্যারেজে ফিরেন। আজ সকালে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি খালেকের সাথে থাকা মুঠোফোনে বলেন- আব্দুল খালেক অচেতন অবস্থায় মেডিকেলের কাছে জনতা ব্যাংকের সামনে পড়ে আছে, আপনারা উদ্ধার করে নিয়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে আসা হয়। সেখানে তার রিক্সা এবং সারারাত গাড়ি চালিয়ে যে টাকা রোজগার করেছে এগুলো কিছুই পাওয়া যায়নি, প্রতারক চক্র সবই নিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাজধানীর পল্টনে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে (৫০) অচেতন অবস্থায় দুপুর দেরটার দিকে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে আসা হয়।
পল্টন থানার এসআই খোরশেদ আলম বিবার্তাকে বলেন, আমরা খবর পেয়ে পল্টন মোড়ের সামনে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকা ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে আসি। পরে স্টোমাক ওয়াশ দিয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসক ভর্তি করা হয়। তবে তার কাছ থেকে প্রতারক চক্র কি নিয়ে গেছে তা এখনো জানতে পারিনি। জ্ঞান ফিরলে জানা যাবে।
এদিকে, রাজধানীর শাহবাগে রাসেল মিয়া (২৮) নামে এক দুবাই প্রবাসী অজ্ঞান পাটির খপ্পরে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে তাকে অচেতন অবস্থা উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে আসার পর স্টমাক ওয়াশ দিয়ে চিকিৎসক তাকে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি দেন।
এ ঘটনায় অজ্ঞান পার্টির সদস্য মাসুদুল হক আপেল (৪৬) নামের একজনকে আটক করেছে শাহাবাগ থানা পুলিশ।
শাহবাগ থানার এসআই মোহাম্মদ সেলিম জানান, রাসেল নামের ওই তরুণ আবুধাবি থেকে আজ ভোরে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। সেখানে পরিচয় হয় অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে। তারা দুজনেই ‘দিশারী পরিবহন’ নামের একটি বাসে করে গুলিস্তানের দিকে আসছিলেন। বাসের মধ্যে ওই ব্যক্তি বিদেশ ফেরত রাসেলকে বিস্কুট খেতে দেন এবং নিজেও খান। এরপরই অচেতন হয়ে পড়েন রাসেল। পরে বাসযাত্রীরা টের পেয়ে ঐ ব্যক্তিকে ধরে ফেলে। এরপর গুলিস্তানে বাস থেকে নামিয়ে পুলিশে খবর দেয় তারা। তখন সেখান থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও অভিযুক্তকে আটক করা হয়।
পুলিশের হাতে আটক মাসুদুল হক আপেল দাবি করেন, তার বাড়ি জামালপুর দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায়। থাকেন খিলক্ষেত উত্তর পাড়ায়। তিনি ওই যুবককে নেশা জাতীয় দ্রব্য মেশানো বিস্কুট খাওয়ানোর কথা স্বীকার করে জানান, বিমানবন্দর এলাকায় বাসে উঠার আগেই রাস্তাতে একই জেলায় বাড়ি দাবি করে ওই যুবকের সঙ্গে পরিচিত হন। এরপর বাসে উঠে পাশাপাশি সিটে বসেন।
তবে ভুক্তভোগী রাসেল মিয়ার বাড়ি সুমানগঞ্জের দিরাই উপজেলার টংগর গ্রামে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিবার্তা/বুলবুল/এসএফ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]