শিরোনাম
২১ ফেব্রুয়ারির আলোচনায় তাপস
ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানও মুছে ফেলার অপচেষ্টা হয়েছে
প্রকাশ : ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২২:২৪
ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানও মুছে ফেলার অপচেষ্টা হয়েছে
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

পঁচাত্তর সালের পর ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।


রবিবার রাতে গেন্ডারিয়ার জহির রায়হান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) আয়োজিত মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা তিনি এই মন্তব্য করেন।


মেয়র তাপস বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকে ভাষা আন্দোলনের যে সূত্রপাত, তার অন্যতম পুরোধা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যেমনি ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্টের পরে মুক্তিযুদ্ধের সকল ইতিহাস থেকে জাতির পিতাকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছে তেমনি পঁচাত্তরের পরে ভাষা আন্দোলনসহ তাঁর পূর্বের অবদানগুলো মুছে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছে। ভাষা আন্দোলন থেকেই আসলে স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল সূচনা, সেটাও মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।


অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে বাংলা রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি পেয়েছে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ৪৮ সালে ভাষা আন্দোলন শুরু, ৫২ সালে রক্ত দেয়া এবং আমরা অর্জন করতে পেরেছিলাম ৫৬ সালে। তাও ওয়ান অফ দ্য স্টেট ল্যাঙ্গুয়েজেস অব পাকিস্তান। উর্দু স্টেট ল্যাঙ্গুয়েজ, তার সাথে আরেকটি রাষ্ট্র ভাষা হলো বাংলা। বাংলা দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। যদিও আমরা ছিলাম সংখ্যাগরিষ্ট।


ডিএসসিসি মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বক্ষেত্রে বাংলার ব্যবহারে বারবার নির্দেশনা দিয়ে চলেছেন। আজকে মুঠোফোনে যে বাংলা বার্তা আমরা পাই, তা শেখ হাসিনার নির্দেশেই হয়েছে।


এ সময় তাপস নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, আমি একদিন একটি চুল কাঁটার দোকানে গেলাম। আমি চুল কেঁটে ওঠছি। তখন দেখি এক মা তার সন্তানকে চুলকাঁটার জন্য নিয়ে এসেছে। স্বভাবতই ছোটবেলায় সবাই যেমন চুল কাঁটাতে একটু নারাজ থাকে, তাদেরকে মানিয়ে মানিয়ে চুল কাটাতে হয়। তেমনি সেই ছোট বাচ্চাটাও চুল কাঁটাতে আগ্রহী না। নাপিত সেই বাচ্চাকে বুঝানোর চেষ্টা করছে। পরে নাপিতকে বাচ্চাটির মা বলছে, আমার ছেলে তো বাংলা বুঝে না, তাকে বলে লাভ নেই।


বিশেষ অতিথির বক্তব্যে একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট অভিনয় শিল্পী সালমা বেগম সুজাতা বলেন, বায়ান্ন সালে যে সকল শহীদের রক্ত এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে বাংলা ভাষা। সেই ত্যাগের ফসল আমাদের এই একুশে পদক। এটা মহান প্রাপ্তি, বিশেষ প্রাপ্তি। এটা স্বর্গীয় সুখ।


ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে এবং সচিব আকরামুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মেয়র প্যানেলের ১ নং সদস্য ও ৪৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শহিদ উল্লাহ বক্তব্য রাখেন।


অনুষ্ঠানের শুরুতে খ্যাতিমান অভিনেতা, প্রয়াত এটিএম শামসুজ্জামান এবং ভাষা শহীদ ও ভাষা সৈনিকদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভার পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।


বিবার্তা/বিপ্লব/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com