সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের ছেলে কাউন্সিলর ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের মামলাটির তদন্ত ‘প্রভাবমুক্ত’ ভাবে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে এই মামলা প্রভাবমুক্তভাবে তদন্ত করা হবে। এখানে প্রভাব খাটানোর চেষ্টাও কেউ করবে না। একজন অপরাধীকে যেভাবে বিচারের আওতায় আনা দরকার, একইভাবে তাকেও আনা হবে।
নারী ও শিশুদের দ্রুততম সেবা প্রদানের জন্য ‘কুইক রেসপন্স টিম’র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনারকে পেয়ে এই মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।
মামলাটির তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশকে দেয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে মামলার সব আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার নথি দেখে প্রয়োজনে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হবে। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে মামলাটি দ্রুত তদন্ত শেষ করে আদালতে পাঠানো হবে।
ইরফানকে কারাগার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে আনার ইঙ্গিত দিয়ে পুলিশ কমিশনার বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়া থেকে সব কিছুই করবে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তারা শ্বশুর একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালীর সংসদ সদস্য। গত রবিবার ঢাকার ধানমণ্ডিতে সংসদ সদস্যের স্টিকারযুক্ত হাজী সেলিমের একটি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট মো. ওয়াসিফ আহমেদ খানকে মারধর করা হয়।
এ ঘটনায় সোমবার ধানমণ্ডি থানায় দায়ের করা মামলায় ইরফান সেলিম ছাড়াও হাজী সেলিমের প্রোটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু, ইরফানের দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদ এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরো তিনজনকে আসামি করে মামলা করে সশস্ত্রবাহিনীর ওই কর্মকর্তা।
আসামিদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে পথরোধ করে সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর, জখম ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ আনেন মামলার বাদী ওয়াসিফ।
এরপর সোমবার হাজী সেলিমের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ইরফানকে গ্রেফতার করে র্যাব। মদ্যপান ও ওয়াটকি পাওয়া যাওয়ায় তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক বছরের সাজা দিয়ে পাঠানো হয়েছে কারাগারে। এজাহারে নাম থাকা অন্য তিন আসামিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে নারী ও শিশুদের দ্রুততম সেবা দিতে ‘কুইক রেসপন্স টিম’উদ্বোধন করেছেন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
তেজগাঁও থানা প্রাঙ্গণে এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে দ্রুত সময়ের মধ্যে সাড়া দেয়ার জন্য একটি হটলাইন (মোবাইল ফোন) এবং একটি গাড়ি উইমেন সাপোর্ট এন্ড ইনভেস্টিগেশন বিভাগকে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, উপ কমিশনার হামিদা ইয়াসমিন, মহিলা আইনজীবী সমিতির নেত্রী সালমা আলী।
বিবার্তা/খলিল/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]