এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক শোকবার্তায় মেয়র তাপস বলেন, তিনি দীর্ঘ সময় সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তার এই প্রয়াণ আমাদেরকে শোকে আচ্ছাদিত করেছে। মাহবুবে আলমের মৃত্যতে আমরা গভীর শোকাহত।
তাপস আরো বলেন, তিনি দল-মত নির্বিশেষে আইনজীবি পরিবারের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি ছিলেন। আইন পেশায় তার বর্ণাঢ্য এই জীবনে তিনি অনেক মানুষকে আইনী সেবা প্রদান করেছেন, রাষ্ট্রীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইনের যথোপযুক্ত বিশ্লেষণের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সব সময় সরব ভূমিকা পালন করেছেন। তার চলে যাওয়ার শূন্যতা পূরণ হবার নয়।
শোক বার্তায় ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস মরহুম মাহবুবে আলমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এর আগে রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। মাহবুবে আলমের ছেলে সুমন মাহবুব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে জ্বর ও গলা ব্যথা নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর সিএমএইচে ভর্তি হন রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তাকে। ওইদিনই করোনা পরীক্ষা করালে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এদিকে, ১৮ সেপ্টেম্বর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মাহবুবে আলমকে আইসিইউতে নেয়া হয়।
সুপ্রিমকোর্টের এ সিনিয়র আইনজীবী ১৯৭৫ সালে হাইকোর্টে আইন পেশায় যুক্ত হন। ১৯৯৮ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে ২০০১ সালের ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
মাহবুবে আলম সুপ্রিমকোর্ট বারের ১৯৯৩-৯৪ সালে সম্পাদক ও ২০০৫-২০০৬ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যা, জাতীয় চার নেতা হত্যা, সংবিধানের এয়োদশ ও ষোড়শ সংশোধনীসহ অসংখ্য ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি করেন।
বিবার্তা/জাহিদ/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]