শিরোনাম
ঢাকার অধিকাংশ বর্জ্য অপসারণ
প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২০, ১৭:০১
ঢাকার অধিকাংশ বর্জ্য অপসারণ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ঢাকার দুই সিটির অধিকাংশ এলাকায় কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ হয়েছে। আর এজন্য ঈদের দ্বিতীয় দিনেও দুই সিটি করপোরেশনের কর্মীরা ছিলেন দায়িত্ব পালনে তৎপর। তাদের এই তৎপরতা ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে সন্তুষ্টি জানিয়েছেন নগরবাসী।


ঈদুল আজহার ২য় দিন রবিবারও (২ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি দেয়া হয়। তাই কোরবানির পশুর বর্জ্য সরিয়ে নিতে আগে থেকেই প্রস্তত ছিলেন সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা। এতেই দেখা মিলল স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও পরিষ্কার পরিপাটি এক নগরী ঢাকা।


ঢাকা ঘুরে দেখা গেল শহরের প্রায় প্রতিটি সড়কেই কোরবানি করার নির্দিষ্ট স্থানের পাশেই রাখা হয়েছে ময়লা-আবর্জনা জমা করার বড় বড় কন্টেইনার। পশুর চামড়া বেচাকেনার পর, ওই স্থান জীবানুমুক্ত করতেও দেখা গেছে। তবে এমন কার্যক্রমের বিপরীত চিত্রও দেখা গেছে ঘনবসতির এলাকায়।


সিটি করপোরেশনের তথ্য, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কোরবানির সময় তিনগুণ বেশি বর্জ্য তৈরি হয় রাজধানী শহরে। তবে এবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে পশু কোরবানি কম হয়েছে। সব মিলিয়ে দুই সিটি করপোরেশন ২৪ ঘণ্টায় বর্জ্য সরিয়ে নেয়ার যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল তা সফল হয়েছে বলেই মনে করেন নগরবাসী।


সন্তুষ্টি জানিয়ে তাদের কেউ বলেছেন, 'মোটামুটি' কেউ জানান, 'আগের চেয়ে এবার অনেক ভালো'। আবার গাড়িতে ময়লা দিয়ে সহযোগিতা করার কথা জানান কেউ কেউ।


এবার এই ঈদ কেন্দ্রিক নগর পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছেন দুই সিটি করপোরেশনের সাড়ে ১৭ হাজার কর্মী। তারা যেমন নগরীর যত্নে গতকাল থেকে একটানা কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা জানান। তেমনি তাদের সঙ্গে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় হাত লাগিয়েছে নগরবাসীও। আর এতেই ঈদের দিনের সব ময়লা-আবর্জনা সরিয়ে নেয়া সম্ভব হয়েছে বলে জানান দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা। তবে অপরিকল্পিত ও রক্ষণাবেক্ষণ না করা ড্রেনেজ ব্যবস্থা অনেক এলাকাতেই যে এই কার্যক্রমের সামনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে তা বোঝা গেল '৫/৬ ঘণ্টা লাগে পানি সরে যেতে' নগরবাসীর এমন অভিযোগ শুনে।


তবে, ঢাকা নগরীর এই চিরায়ত সমস্যা ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সমস্যা সমাধান করার কথা বলে আশ্বস্ত করেছেন নিজ নিজ এলাকার বাসিন্দাদের। ঢাকা দক্ষিণের ৫১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী হাবিবুর রহমান হাবু জানান, অনেক ড্রেন বন্ধ হয়ে আছে। এতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে যেমন বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে তেমনি যে কোনো সময় ডেঙ্গু মশাও বাড়তে পারে।


আর ঢাকা উত্তরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন মোল্লার আশ্বাস ড্রেনেজ ব্যবস্থায় যে সব সমস্যা রয়েছে ঢাকা ওয়াসার সঙ্গে আলোচনা করে খুব শিগগিরই তা সমাধান করা হবে।


বর্জ্য ব্যবস্থায় এবারের তৎপরতায় নগরবাসীর অভিজ্ঞতা, সকলে মিলে যত্ন নিলে সত্যিই এক তিলোত্তমা নগরী হবে প্রতিদিনের দূষণ আর অবহেলায় প্রায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে ওঠা ৪শ' বছরের পুরোন ঢাকা।


বিবার্তা/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com