শিরোনাম
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২০, ০৮:২৩
রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

করোনা পরীক্ষা না করে ভুয়া সার্টিফিকেট প্রদানসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে রাজধানীর উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. শাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।


মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি দায়ের করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। মামলায় প্রধান আসামিসহ ৯ জন আসামিকে পলাতক দেখিয়ে এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।


আসামিরা হলেন, রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. শাহেদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজ, রিজেন্ট হাসপাতালের কর্মী তরিকুল ইসলাম, আবদুর রশিদ খান জুয়েল, মো. শিমুল পারভেজ, দীপায়ন বসু, আইটি কর্মকর্তা মাহবুব, সৈকত, পলাশ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আহসান হাবীব (১), হেলথ টেকনিশিয়ান আহসান হাবীব (২), হেলথ টেকনোলজিস্ট হাতিম আলী, অভ্যর্থনাকারী কামরুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রুপের প্রকল্প প্রশাসক মো. রাকিবুল ইসলাম, রিজেন্ট গ্রুপের মানবসম্পদ কর্মকর্তা অমিত বণিক, রিজেন্ট গ্রুপের গাড়িচালক আবদুস সালাম ও নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রশিদ খান।


এর আগে দুপুরে ওই হাসপাতালের রোগীদের অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখা ও প্রধান কার্যালয় সিলগালা করে দেয় র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।


র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আসা নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।


সারোয়ার আলম বলেন, হাসপাতালটি এ পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি করোনা পরীক্ষার সার্টিফিকেট প্রদান করেছে। তারা আইইডিসিআর, আইটিএইচ ও নিপসম থেকে ৪ হাজার ২০০ রোগীর বিনামূল্যে নমুনা পরীক্ষা করিয়ে এনেছে। পাশাপাশি নমুনা পরীক্ষা না করেই আরও তিনগুণ লোকের ভুয়া করোনা রিপোর্ট তৈরি করে। প্রতি পরীক্ষার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৩ হাজার ৫০০ করে টাকা নেয়। এর মানে হলো তারা এ পর্যন্ত প্রায় ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।


সোমবার বিকেলে করোনা চিকিৎসায় অনিয়মের অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখায় অভিযান চালানো হয়।


অভিযান শেষে সরোয়ার আলম জানান, এখানে টেস্ট না করেই করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়া হতো। স্যাম্পল নিয়ে তা ফেলে দিয়ে ভুয়া রিপোর্ট দিতো হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। রিপোর্টে নকল সিল ও স্বাক্ষর দেয়া হতো।


হাসপাতালটির সঙ্গে সরকারের চুক্তি ছিল ভর্তি রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়ার। সরকার এই ব্যয় বহন করবে। কিন্তু তারা রোগীপ্রতি লক্ষাধিক টাকা বিল আদায় করেছে। পাশাপাশি রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়েছে এই মর্মে সরকারের কাছে ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার বেশি বিল জমা দেয়। এ ঘটনায় আটজনকে আটক করা হয়েছে।


বিবার্তা/এনকে

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com