কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের দুই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঢাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন কুয়েক ফেরত ভুক্তভোগীরা।
‘কুয়েত ফেরত প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রেমিকরা’ নামের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে কবির ও নাসির নামে দুই কুয়েত ফেরত ভুক্তভোগী বক্তব্য রাখেন।
তারা জানান, দীর্ঘদিন থেকে বৈধভাবে কুয়েতে থাকেন তারা। হঠাৎ করে একদিন সে দেশের পুলিশ তাদের আটক করে কারাগারে নিয়ে যায়। এ সময় আটকের বিষয়টি পুলিশের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায় কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের নির্দেশেই আটক করা হয়েছে। পরে তাদের অপরাধ বা আটক করার কারণ জানার জন্য তারা কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করেন।
এ সময় দূতাবাস কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেন ও তৌহিদুল ইসলাম তাদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। কিন্তু তাদের বৈধতা থাকায় টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে ফরিদ ও তৌহিদুলের নির্দেশে তাদের দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
তারা আরো জানান, কুয়েতে প্রবাসীদের সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের। কিন্তু সেই দূতাবাসে কর্মরত কয়েকজন কর্মকর্তা দেশপ্রেমের কথা বলে দুর্নীতি ও অবৈধভাবে প্রবাসীদের কাছ থেকে টাকা লুট করছেন।
কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ওই দুই কর্মকর্তা (মো. ফরিদ হোসেন ও তৌহিদুল ইসলাম) ১০-১৫ বছর ধরে সেখানে কর্মরত রয়েছেন জানিয়ে ভুক্তভোগীরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে তারা সেখানে কর্মরত থাকায় সবাইকে চেনেন এবং টার্গেটকৃত প্রবাসীদের ফোন করে রাষ্ট্রদূতের সাথে দেখা করার জন্য বলা হয়। কারণ জানতে চাইলে এ সময় টার্গেটকৃত প্রবাসীদের কাছ থেকে ৫ থেকে ১০ হাজার দিনার (কুয়েতি টাকা) চাঁদা দাবি করা হয়। তবে যারা সেই টাকা দিতে পারতেন না তাদের স্থানীয় পুলিশ বা জেলখানায় পাঠিয়ে দেয়া হতো। পরে ওই দেশের সরকারি আইনের আওতায় এনে দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত দুর্নীতিবাজ ওই কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করেন। এজন্য তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেত কামনা করেন।
বিবার্তা/খলিল/রবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]