শিরোনাম
মৌলিকা চাহিদা পূরণে সংগ্রাম
পর্যটন নিয়ে স্বপ্ন দেখেন দূর্গম রেমাক্রির মানুষ
প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ২০:৩৭
পর্যটন নিয়ে স্বপ্ন দেখেন দূর্গম রেমাক্রির মানুষ
মো.আবুল বশর নয়ন, থানচি থেকে ফিরে
প্রিন্ট অ-অ+

মানুষের বাঁচার জন্য পাচঁটি অধিকার বা চাহিদা রয়েছে। যারমধ্যে খাদ্য ও চিকিৎসা মানুষের বড় মৌলিক চাহিদা। কিন্তু সবার চাহিদা এক নয়। তাদের মধ্যে বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম রেমাক্রি ইউনিয়নে বসবাসরত উপজাতিরা মৌলিক চাহিদা পূরণে প্রতিটি মুহুর্তে সংগ্রাম করছে। তারপরও সেখানকার মানুষ স্বপ্ন দেখেন নিজেদের পর্যটন নিয়ে। পর্যটন উন্নয়ন হলে তাদেরও ভাগ্য পরিবর্তন হবে এমনটি জানিয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও জুম্ম চাষী তুইক্যচিং মারমা।


১৬-১৭ নভেম্বর সরেজমিনে ঘুরে উপজাতীয় সম্প্রদায়ের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মোটামুটি সচেতন ব্যাক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, রেমাক্রি ইউনিয়নে মারমা, খুমি, ত্রিপুরা, ম্রো, বম ও খেয়াং সম্প্রদায়ের বসবাস রয়েছে। নেই কোন বাঙ্গালী পরিবার। সেখানকার সবচেয়ে দূর্গম গ্রাম হচ্ছে দলিয়ামপাড়া। জুমে ধান, আম ও কাজু বাদাম মূলত তাদের প্রধান কৃষি পণ্য।


রেমাক্রি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পিউসি অং মারমা জানান- কোন ধরনের পরিবহণ ও সড়ক যোগাযোগ না থাকলেও রেমাক্রিতে পর্যটকদের আগ্রহ বাড়ছে। প্রায় ৩৫টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা থানচি-রেমাক্রি নৌপথে যাতায়ত করে। বাজারে রয়েছে প্রায় ৬০টি দোকান।


স্থানীয় বাসিন্দা হ্লাচিংমং মার্মা জানান- জুমে যে ফসল উৎপন্ন হয় পুরো পরিবার নিয়ে সারাবছর তাদের চলেনা। অধিকাংশ উপজাতি পরিবারে খাদ্য ঘাটতি রয়েছে। এছাড়া দূর্গম এ ইউনিয়নে বসবাসরত মানুষগুলো স্বল্প আয়ে সৃষ্টিকর্তার আর্শীবাদেই বেঁচে আছে বলে বিশ্বাস করেন। চিকিৎসা শব্দটির সাথে অনেক উপজাতি পরিবার পরিচিত নয়।



উপজাতি এক নারী জানান- তার দুই সন্তান মারা গেছে। কিন্তু কি রোগে আক্রান্ত হয়েছিল তিনি জানেনা। অন্যদিকে এক গর্ভবর্তী নারী জানান- তার চার সন্তান রয়েছে। বর্তমানে তিনি গর্ভবর্তী কিন্তু জম্মনিয়ন্ত্রণ কিভাবে করা হয় সেটি তিনি জানেন না।


পর্যটকদের গাইড হিসেবে থানচি-রেমাক্রির পরিচিত মুখ লাল পিয়ম। পর্যটকদের রাত্রী যাপনের জন্য রেমাক্রি বাজারে রয়েছে তার বাঁশ-কাঠের তৈরি কটেজ। সেখানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। তিনি জানান- সাঙ্গু নদী ধরে রেমাক্রীর দিকে ধীরে ধীরে উপরে উঠতে হয় নৌকা বেঁয়ে। কারণ নদীটি রেমাক্রী যেতে ধীরে ধীরে ঢালু হয়েছে। রেমাক্রিতে দিন দিন পর্যটক বাড়ছে জানিয়ে লাল পিয়ম জানান- পর্যটকদের থাকার জন্য রেমাক্রি বাজারে তার একটিসহ ক্যাউনাই, মংপু চেয়ারম্যান ও হ্লাচিং মং এর চারটি কটেজ রয়েছে।


জাতীয় দিবসগুলোর ছুটির দিনে ৪০০/৫০০ পর্যন্ত পর্যটকের আগমন ঘটে রেমাক্রিকুম, নাফাকুম, সাবাকুম, বেলাকুম, নামিয়াকুম, ল্যাক্ষ্যংঝর্ণা, খামলাই ঝর্ণা দেখতে। তারমতে ‘পর্যটন উন্নয়ন হলে এলাকার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন ঘটবে। তবে এজন্য দ্রুত সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে।’।



বিবার্তা/নয়ন/আমিরুল

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com