শিরোনাম
বরিশালে পানিতে ডুবে ৩ যুবকের মৃত্যু
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২১, ১৫:৪০
বরিশালে পানিতে ডুবে ৩ যুবকের মৃত্যু
বরিশাল প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বরিশাল নগরী ও গৌরনদী উপজেলায় পানিতে ডুবে ৩ যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল নগরীতে নদীতে ডুবে শাহিন খলিফা (৩৫) ও গৌরনদী উপজেলায় খালে ডুবে শিপন চাপরাশী (২৩) এবং পুকুরে ডুবে হৃদয় ফকির (২২) মারা যান। শনিবার (৩১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একজনের এবং শুক্রবার (৩০ জুলাই) অপর দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।


শাহিন খলিফা বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাইন ইউনিয়নের বিশ্বাসেরহাট এলাকার মৃত আছমত আলী খলিফার ছেলে। অন্যদিকে শিপন চাপরাশী গৌরনদী উপজেলার বাউরগাতি গ্রামের হালিম চাপরাশীর ছেলে এবং হৃদয় ফকির একই উপজেলার কটকস্থল গ্রামের মোসলেম ফকিরের ছেলে।


শাহিন খলিফার স্বজনরা জানান, বরিশাল নগরীর বেলতলা ফেরিঘাটের পন্টুন থেকে কীর্তনখোলা নদীতে পড়ে শুক্রবার দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিলেন শাহিন। খবর পেয়ে কাউনিয়া থানা পুলিশ, কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়।


বরিশাল রিভার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের ডুবুরি মোহাম্মদ আব্দুলাহ জানান, শাহিন খলিফার সন্ধানে শুক্রবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত কীর্তনখোলা নদীতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। তবে শাহিন খলিফার খোঁজ তখনও মেলেনি। শনিবার সকাল থেকে ফের তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে মুক্তিযোদ্ধা পার্ক সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।


ডুবুরি মোহাম্মদ আব্দুলাহ বলেন, শাহিন খলিফা মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এ কারণে জ্ঞান হারিয়ে তিনি নদীতে পড়ে গেলে আর সাঁতরে তীরে উঠতে পারেননি। শুক্রবার (৩০ জুলাই) রাতে গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বাউরগাতি গ্রামে ও তাঁরাকুপি গ্রামে পানিতে ডুবে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে হৃদয় ফকির টরকী বন্দর বেসরকারি জীবন বীমা পপুলার অফিসের কর্মচারী ছিলেন।


এদিকে, শুক্রবার রাতে তার মামা দুলাল মোল্লার বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে রাত ৮টার দিকে তাঁরাকুপি গ্রামের দুলাল মজুমদারের বাড়ির কাছে রাস্তায় পৌঁছলে মৃগী রোগী হৃদয় ফকির অসুস্থ হয়ে রাস্তার পাশের খালে পড়ে নিখোঁজ হন। পরে খালের পাশে তার পায়ের স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে স্বজনরা খুঁজতে থাকেন। খবর পেয়ে গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে খাল থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় হৃদয় ফকিরকে উদ্ধার করেন। তাকে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।


অন্যদিকে, উপজেলার বাউরগাতি গ্রামের শিপন চাপরাশী শুক্রবার রাত ৮টার দিকে নিজ বাড়ির পুকুরে ওজু করতে গিয়ে নিখোঁজ হন। রাত ৯টার দিকে তার বড় ভাই মামুন চাপরাশী পুকুরে হাত-পা ধুতে গিয়ে পায়ের স্যান্ডেল দেখে শিপনকে খোঁজাখুঁজি করেন। এরপর স্বজনরা রাত সোয়া ৯টার দিকে পুকুর থেকে শিপনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিপন চাপরাশী মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিলেন বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।


গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. আফজাল হোসেন ঘটনা দুটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।


বিবার্তা/বিআর

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com