মা-বাবাকে পিটিয়ে আহত করে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগে এক জনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৭ আগস্ট) গভীর রাতে আলমডাঙ্গার নতিডাঙ্গা আবাসন প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনার পর নির্যাতিতার বাপ-মাকে অভিযোগ করতে থানায় যেতে দেয়নি ধর্ষকরা। পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ গিয়ে নির্যাতিতা কিশোরীসহ তার বাপ-মাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার নতিডাঙ্গা আবাসন প্রকল্পে বসবাস করেন হতদরিদ্র আনারুল ও শিলা দম্পতি। তাদের একমাত্র মেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত রাত সোয়া ১২টার দিকে একই আবাসনে বসবাসকারী জয়নালের ছেলে লাল্টু ওরফে মিন্টু, সভা ঘরামীর ছেলে শরিফুল ও মিলনের ছেলে রাজু আনারুলের ঘরে চড়াও হয়। তাদের ডাকাডাকিতে সাড়া না দিলে ইট দিয়ে আঘাত করে ঘরের দরজা ভেঙে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়। উপায়ান্তর না পেয়ে দরজা খুলে দেন আনারুলের স্ত্রী। সে সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আনারুল ও তার স্ত্রীকে বেদম পিটায়।
হামলাকারীদের হাত থেকে প্রাণে বাঁচতে আনারুল ও তার স্ত্রী ঘর থেকে ছুটে পালায়। তাদের কিশোরী মেয়ে ভয় পেয়ে বাথরুমে গিয়ে লুকায়। সে সময় ৩ হামলাকারী বাথরুম থেকে বের করে কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় নিমতলা গ্রামের বাধবাগানে। সেখানে তিন জন পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। সকালে আনারুল ও তার স্ত্রী ঘরে ফিরলে নির্যাতনের শিকার কিশোরী বাপ-মাকে সব খুলে বলে। বাপ-মা ওই নারকীয় ঘটনায় মামলা করতে চাইলেও বাড়ি থেকে তাদের বের হতে দেয়নি ধর্ষকরা।
পরে এ ঘটনা জানতে পেরে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ নির্যাতনের শিকার কিশোরীসহ তার মা-বাপকে উদ্ধার করেছে। পুলিশ আটক করেছে লাল্টু ওরফে মিন্টু নামের এক ধর্ষককে। কিশোরীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে থানার ওসি মুন্সি আসাদুজ্জামান জানান।
বিবার্তা/সাগর/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]