শিরোনাম
হালদা দূষণ: এশিয়ান পেপার মিল বন্ধের নির্দেশ
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০১৯, ১৫:৫০
হালদা দূষণ: এশিয়ান পেপার মিল বন্ধের নির্দেশ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদী দূষণের দায়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার নন্দীরহাট এলাকার এশিয়ান পেপার মিলস (প্রা.) লিমিটেড কারখানার উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর।


রবিবার (১৮ আগস্ট) পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন অধিদফতরের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক।


পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সংযুক্তা দাশ গুপ্তা গণমাধ্যমকে বলেন, এর আগে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ আরোপ ও সতর্ক করা হলেও তারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাই উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


তিনি জানান, এর আগে গত ১৪ আগস্ট পরিবেশ অধিদফতরের একটি টিম সরেজমিন পরিদর্শনে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিস্থিতি নাজুক দেখতে পান। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটিকে ১৮ আগস্ট শুনানিতে অংশ নেয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়।


বন্দরনগরী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকার নন্দীরহাটে এশিয়ান পেপার মিলের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে একুতি ছড়া (মরা খাল)।


তা আবার হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কাটাখালি, খন্দকিয়া, বাথুয়া, মাদারি ও কৃষ্ণখালী খাল ধরে হালদা নদীতে গিয়ে মিশেছে।


কারখানার অপরিশোধিত প্রাণঘাতী বর্জ্য এসব খালের মাধ্যমে মিঠা পানির রুই-জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে গিয়ে পড়ে। এতে নদীর জীববৈচিত্র্য ও নদীর প্রাকৃতিক পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলছে।


১২ বছর ধরে এভাবে দূষিত হচ্ছে হালদা নদী। চট্টগ্রামের পরিবেশ অধিদফতরের একজন কর্মকর্তার আশ্রয়-প্রশ্রয়ে প্রতিষ্ঠানটি এ ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে জনশ্রুতি রয়েছে।


চলতি বছরের ১০ জুন পরিবেশ অধিদফতর হালদা দূষণের কারণে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করে। ওই সময় প্রতিষ্ঠানটিকে ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছিল অধিদফতর।


ওই ঘটনার দুই মাসের মাথায় এশিয়ান পেপার মিলের বিরুদ্ধে আবার হালদা নদী দূষণের অভিযোগ উঠেছে। ১০ আগস্ট শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় ওই কারখানা থেকে পাশের মরা ছড়ায় ছুটির সুযোগে অপরিশোধিত প্রাণঘাতী তরল বর্জ্য ছাড়ার প্রমাণ পেয়েছেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুহুল আমিন।


ওই রাতে এবং পরদিন রবিবার দুপুরে ইউএনও’র সঙ্গে হালদা গবেষক দলের সদস্যরা ওই পেপার মিল তথা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।


ওইদিন রাতে এশিয়ান পেপার মিল যে রাতের আঁধারেই অপরিশোধিত প্রাণঘাতী তরল বর্জ্য ছেড়ে দেয় হালদায়, এর স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে ইউএনওর সরেজমিন পরিদর্শনে।


দেখা গেছে, ঈদে মানুষের ব্যস্ততার সুযোগে পানি ছেড়ে দিয়েছে এশিয়ান পেপার মিল। সংগ্রহ করা হয় দুই বোতল নমুনা, যা পরিবেশ অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।


বিবার্তা/রবি

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com