খুলনার রূপসা উপজেলার ঘনবসতিপূর্ণ বাগমারা এলাকার দু’টি সড়কসহ পার্শ্ববর্তী প্রায় তিন শতাধিক বাড়ি-ঘরে ভারী বৃষ্টির কারণে মারাত্মক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অতি বৃষ্টি হলে দুর্ভোগের আর শেষ থাকে না এখানকার বসবাসরত মানুষের।
সরেজমিনে শনিবার (১৭ আগস্ট) বাগড়ারা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শুক্রবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত টানা ৬ ঘণ্টার বৃষ্টিপাতে এসব এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষ। বছরের পর বছর এ অবস্থার সৃষ্টি হলেও দেখার যেন কেউ নেই।
মধ্যপাড়ার বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই আমার বাড়ি থেকে শুরু করে স ম আইয়ুব আলীর বাড়ির সামনের রাস্তা পর্যন্ত তলিয়ে থাকে। গ্রামের প্রধান এ সড়কটির পাশের নির্মিত ড্রেন দিয়ে পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশন না হওয়াসহ সড়কটি নিচু থাকায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ সড়ক দিয়ে সামছুর রহমান মাধ্যমিক ও বাগমারা দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্যান্য স্কুল-কলেজ এবং মাদরাসার শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বছরের পর বছর রাস্তাটির এ অবস্থা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো মাথা ব্যথা নেই। এ পর্যন্ত তিনবার স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বর এবং উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিস থেকে সড়কটি মাপা-মাপি করে গেলেও উন্নয়ন কাজ আলোর মুখ দেখেনি। যে কারণে এ দুর্ভোগ পথচারীসহ সড়ক পার্শ্ববর্তী প্রায় শতাধিক পরিবারের নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় রিনা মেম্বরের বাড়ির পার্শ্ববর্তী সড়কের অধিকাংশসহ আশ-পাশ এলাকার প্রায় দু’শতাধিক বাড়ি-ঘর জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ সড়কটির দু’পাশের কোথাও কোনো ড্রেন নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের ব্যবহারিক পানি কোথাও যেতে না পেরে জমে থাকে রাস্তা জুড়ে। ৬ ঘণ্টার বৃষ্টিপাতে এলাকা আরো বেশি জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে স্থানীয় বাসিন্দা মো. রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ির ময়লা আবর্জনা ও বাথরুমের নোংরা পানির সাথে বৃষ্টির পানি একাকার হয়ে গেছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকার বাসিন্দারা এই নোংরা পানি মাড়িয়ে অনেকে চর্ম রোগের শিকার হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার বলেন, একযুগেরও বেশি সময় ধরে আমরা এই রাস্তা নিয়ে ভুগছি। রাস্তার পাশে ময়লা আবর্জনার সাথে জমে থাকা পানি মিশে নোংরা অবস্থা থাকে বারো মাস। এই ময়লা-বর্জ্য থেকে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা। অনেকে ডেঙ্গু আতঙ্কেও ভুগছে। এসব পরিস্থিতি থেকে রেহায় পেতে রাস্তাটি উঁচু করে এর পাশে ড্রেন করার জন্য বহুবার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোনো সুরাহা মেলেনি। যে কারণে সড়ক পার্শ্ববর্তী প্রায় দু’শতাধিক বাসিন্দা বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এব্যাপারে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিবার্তা/রেজাউল/জহির
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]