চলতি বর্ষা মৌসুমে প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ায় পাট পচানো নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন দামুড়হুদা উপজেলার কৃষকেরা। খালে- বিলে-গর্তে পানি না থাকায় পাট কাটতে গিয়ে কৃষকেরা পড়ছেন নানান সমস্যায়।ফলে পাট নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন তারা।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর ৫ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও পাট চাষ হয়েছে ৬ হাজার ২৮৫ হেক্টর জমিতে।বিগত বছর পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৭ হাজার ২৫০ হেক্টর জমি, সেখানে চাষ হয় ৫ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে।গত বছরের তুলনায় এ বছর ১ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে বেশি পাট চাষ হয়েছে।ফলে এত পাট কোথায় জাগ দেবেন, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।বর্ষা মৌসুমের শেষপ্রান্তে এসেও কৃষকেরা ভারী বর্ষণের জন্য অপেক্ষা করছেন।এ ছাড়া কিছু কিছু কৃষক শ্যালো মেশিন দিয়ে পুকুরে পানি জমিয়ে পাট পচাচ্ছেন। এতে খরচ পড়ছে বিঘাপ্রতি ৮০০-৯০০ টাকা। উপজেলার খাল-বিল-গর্তে পানি না থাকা ও জায়গা-সংকট থাকায় তারা পাট কাটতে সাহস পাচ্ছেন না। বর্ষা মৌসুমের শেষে দিকেও মাঠের প্রায় শতকরা ৮০ শতাংশ পাটকাটা হয়নি।
এ বিষয়ে কৃষক রফিকুল ইসলাম, আব্দুর রহমান, মোরশেদ মিয়া ও মনিরুল ইসলাম জানান, ‘বর্তমানে বাজরে পাটের দাম যা আছে, তা নিয়ে আমরা খুশি। তবে চলতি বর্ষা মৌসুমের শ্রাবন মাসের ২০ দিন অতিবাহিত হলেও বর্ষার দেখা না মিলায় পাট পচানো নিয়ে আমরা বিপদে আছি। শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় পড়েছি।
বিবার্তা/জাই
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]